অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দরপতনের শিকার হলেও দেশের পুঁজি বাজার সূচকে পয়েন্ট ফিরে পেয়ে ইতিবাচক পথে। দুই বাজারেই গড়ে ৫৯ শতাংশের বেশি কোম্পানি দরপতনের শিকার। কেনার চাপ বেশি থাকায় বাজারে লেনদেন বেড়েছে। যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে তার অর্ধেকের শেয়ার দর বেড়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে সেগুলোর মধ্যে পাঁচটির প্রতি শেয়ার হোল্ডারদের আগ্রহ ছিল সর্বোচ্চ। যার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারে এদিন বিক্রেতা সঙ্কট ছিল। কোম্পানি পাঁচটি হলো- রহিম টেক্সটাইল, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট ফাইন্যান্স। ডিএসইর বাজার মূলধন ০.১৫ শতাংশ ফিরেছে। রয়থ্যাল ক্যাপিটাল ফিন্যান্সিয়াল পোর্টাল বাজার বিশ্লেষণে বলছে, বিক্রির চাপ কমায় সূচক বাড়ল। আগের দিনের মতো ২৩ সেপ্টেম্বরও বাজার ইতিবাচক প্রবণতা নিয়ে শুরু করে তবে তা দিনশেষেও ধরে রেখেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ সময়ে হঠাৎ ছন্দপতনের পর পুরোটা সময় সূচকের ইতিবাচক ধারা বজায় রাখা বিক্রির চাপ কমে আসাটাকেই নির্দেশ করছে। যা সামনের কিছুদিন অব্যাহত থাকবে এমনটাই আশা করা যায়।
লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫.৪১ পয়েন্ট ফিরে পেয়ে এখন পাঁচ হাজার ৭৬০.৩৯ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক কমেছিল ০.২৯ পয়েন্ট। আর শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস ১০.৩৪ পয়েন্ট বেড়েছে এবং ডিএস৩০ সূচক ২.১৬ পয়েন্ট বেড়েছে। ২২ কোটি ৩১ লাখ পাঁচ হাজার ৩৪০টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৬৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকায়। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। এই হিসেবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বা ০.২০ শতাংশ। বাজার মূল্য পরিবর্তনের ভিত্তিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৮টি কোম্পানির মধ্যে ১১২টির দর বৃদ্ধি পেয়েছে ও ২৩৭টির বা ৫৯.৫৪ শতাংশের দর পতন এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৯টির।
আর ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৬টি প্রতিষ্ঠান এক কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৪৮ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আট প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এনভয় টেক্সটাইল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, আলহাজ টেক্সটাইল, পিপুলস ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাভেলো আইসক্রিম, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স এবং বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। এই আট প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৪৮ লাখ টাকারও বেশি। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এনভয় টেক্সটাইলের। কোম্পানিটির ৩৬ লাখ শেয়ার মোট ১৮ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার, আলহাজ টেক্সটাইলের ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার টাকার, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, লাভেলো আইসক্রিমের ২ কোটি ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টকের সিএসসিএক্স সূচক ছাড়া অপর দুটি সূচক পতনের শিকার। সিএএসপিআই ২.০৬ পয়েন্ট এবং সিএসই-৩০ সূচক ১.৮০ পয়েন্ট হারিয়েছে। সিএসসিএক্স সূচক ১০.৮৮ পয়েন্ট ফিরে পেয়েছে। ২৩০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিলেও দরপতনের শিকার ৫৯.১৩ শতাংশ বা ১৩৬টি, দর বেড়েছে ৬৮টির এবং দর অপরিবর্তিত ২৬টির। ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৫২টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ১১ কোটি ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৪ টাকা বাজারমূল্যে। আগের দিনের তুলনায় লেনদেনে ৭ কোটি টাকার বেশি কম।
অকা/পুঁবা/ফর/সকাল/২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে