অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.১৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মার্চ মাসে ছিল ৯.৩৫ শতাংশ। এই হ্রাসের পেছনে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতের মূল্যস্ফীতির কমে আসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৬৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ৮.৯৩ শতাংশ। বিশেষ করে আলু, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি ও মসলার দাম কমার কারণে এই হ্রাস ঘটেছে।
খাদ্যবহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৬১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ৯.৭০ শতাংশ। বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং অন্যান্য সেবাখাতে এই হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে।
গ্রামীণ এলাকায় এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯.১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ৯.৪১ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৪০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসে ছিল ৮.৮১ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কমে ৯.৮৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ৯.৯৭ শতাংশ।
শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৫৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ৯.৬৬ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.১৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসে ছিল ৯.১৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কমে ৯.৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ৯.৯৫ শতাংশ।
২০২৪ সালের মে থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ১০.২১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯.৭৩ শতাংশ।
এপ্রিল মাসে শ্রমিক মজুরি সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.১৯ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৮.১৫ শতাংশ। এর মধ্যে কৃষি খাতে মজুরি বেড়ে ৮.৪০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আগের মাসে ছিল ৮.৩৭ শতাংশ। শিল্প খাতে মজুরি বেড়ে ৭.৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ৭.৮২ শতাংশ। সেবা খাতে মজুরি বেড়ে ৮.৪২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা মার্চে ছিল ৮.৪০ শতাংশ।
এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হ্রাস ভোক্তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে, তবে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সতর্ক নজরদারি ও কার্যকর নীতিমালার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতিকে আরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। ●
অকা/প্র/সকাল/ ৬ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 7 months আগে

