তারেক আবেদীন ● 

চার খাত রফতানির নগদ সহায়তায় যুক্ত হয়েছে। খাতগুলো হচ্ছে দেশে উৎপাদিত চা, বাই সাইকেল ও এর পার্টস, এমএস স্টিল প্রোডাক্টস এবং সিমেন্ট শিট।  চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) চারটি নতুন খাতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হবে।  ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এতে বলা হয়, বিশেষায়িত অঞ্চলে, (বেপজা ও হাইটেক পার্ক) বিদ্যমান সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান সুবিধা ছাড়াও বিশেষায়িত অঞ্চলের ‘এ’ ও ‘বি’ টাইপ প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানির বিপরীতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য করা হয়েছে। বিশেষায়িত অঞ্চলের সব ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে রফতানি প্রণোদনা সহায়তা পাবে।

চলতি অর্থ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য করা হয়েছে। ফ্লোট গ্লাস শিট, ওপাল গ্লাসওয়্যার, কাস্ট আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য হাল্কা প্রকৌশল পণ্য খাতের আওতায় রফতানি ভর্তুকির জন্য বিবেচিত হবে মর্মে সার্কুলারে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য (কম্প্রেসার) এবং এইচসিএফসিমুক্ত রেফ্রিজারেটর ইলেক্ট্রনিক পণ্য হিসেবে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতের আওতায় রফতানি ভর্তুকি প্রাপ্য হবে। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে যে, প্রযোজ্য সব খাতে নগদ সহায়তা/রফতানি ভর্তুকি/প্রণোদনা সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রফতানির বিপরীতে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ দেশীয় মূল্য সংযোজন থাকতে হবে।

উল্লেখ্য. চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বস্ত্র খাতের পাঁচটি উপ-খাতসহ ৩৮টি পণ্য রফতানির বিপরীতে রফতানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত অর্থ বছরের মতো এবারও ১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য থাকছে। চলতি অর্থবছরে ৪টি নতুন খাতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হবে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে দেশে উৎপাদিত চা, বাই সাইকেল ও এর পার্টস, এমএস স্টিল প্রোডাক্টস এবং সিমেন্ট শিট।

#

সর্বশেষ হালনাগাদ 4 years আগে

Leave A Reply

Exit mobile version