Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    রবিবার, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    খেলাপি ঋণ সংকটে আংশিক অবলোপন নীতি

    ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ ৩:১৮ অপরাহ্ণ0
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●

    দেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন ধরে গোপন থাকা খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করে। ব্যালান্স শিটে প্রকৃত ঝুঁকি লুকিয়ে রাখার প্রবণতা সামনে আসায় মন্দ ও ক্ষতিজনক শ্রেণির ঋণের বাস্তবতা প্রকাশ পেতে থাকে। এমন পরিবেশেই বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নীতিমালা জারি করেছে, যেখানে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ—এমন ঋণ আংশিক অবলোপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

    গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জারি করা সার্কুলারেই নির্দেশনা কার্যকর করা হয়। এর মাধ্যমে আগের নীতিমালা সংশোধিত হলো, যেখানে এ সুযোগ ছিল না। মূল যুক্তি হলো—ব্যালান্স শিটে প্রকৃত অনাদায়ী ঋণ দেখাতে গেলে খেলাপির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়, যা সম্পদের মান নির্ধারণে জটিলতা তৈরি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাসেল নীতি ও আইএফআরএস অনুযায়ী আংশিক অবলোপন একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রক্রিয়া, এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বহু দেশে এটি নিয়মিত অনুসৃত।

    নীতিমালাটি এসেছে ব্যাংকিং খাতের সর্বোচ্চ সংকট মুহূর্তে। হাসিনা সরকারের পতনের আগেই খেলাপি ঋণ দ্রুত বাড়ছিল—২০২৪ সালের জুনে যেখানে খেলাপি ২.১১ লাখ কোটি টাকা (১২.৫ শতাংশ), সেখানে ডিসেম্বরেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩.৪৫ লাখ কোটি টাকা (২০.২০ শতাংশ)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এই অঙ্ক আরও বেড়ে হয়েছে ৬.৪৪ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৫.৭৩ শতাংশ—দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

    নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সতর্ক করে বলেছিলেন, খেলাপি ৩৫ শতাংশ ছাড়াতে পারে। তাঁর মতে, গত ১৫ বছরে এস আলম, বেক্সিমকোর মতো কিছু গ্রুপ প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা নিয়ে গেছে—যা বৈশ্বিক মানদণ্ডেও নজিরবিহীন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতেও বলা হয়েছিল, পদ্ধতিগত দুর্বলতা, নিয়ন্ত্রণগত ঘাটতি, অর্থ পাচার ও লুণ্ঠনমূলক চর্চাই খেলাপির বিস্ফোরণের প্রধান কারণ।

    নীতিমালায় বলা হয়েছে—যে ঋণের বিপরীতে বিশ্বস্ত জামানত আছে, সেই অংশ অবলোপন করা যাবে না; শুধু আদায়-অযোগ্য অংশই অবলোপনের আওতায় থাকবে। ব্যাংক নিজস্ব মূল্যায়ন বা পেশাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে জামানতের প্রকৃত বাজারমূল্য নির্ধারণ করতে পারবে। পাশাপাশি আগে সুদের আরোপিত অংশ অবলোপন করতে হবে এবং অনারোপিত সুদ আলাদাভাবে হিসাবায়ন করতে হবে। পরবর্তী আদায় হলে প্রথমে অবলোপিত অংশ সমন্বয় হবে এবং অবশিষ্ট থাকলে বাকিতে সমন্বয় হবে। অবশিষ্ট পাওনার ক্ষেত্রে পুনঃতফসিল অথবা এক্সিট সুবিধা দেওয়া যাবে।

    দেশের শীর্ষ ব্যাংকাররা এই নীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন মনে করেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই নীতি ব্যাংকের প্রভিশন-চাপ কমাবে এবং বাস্তব খেলাপির চিত্র পরিষ্কার করবে। অগ্রণী ব্যাংকের এমডি আনোয়ারুল ইসলামও একে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন, যদিও তিনি কঠোর নজরদারির ওপর জোর দেন। অন্যদিকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নির্দিষ্ট কিছু শর্ত নিয়ে ব্যবহারিক জটিলতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন—বিশেষ করে আগে সুদ অবলোপনের বাধ্যবাধকতা ঋণ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে কঠিন করতে পারে।

    অর্থনীতিবিদরা আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা গ্রহণকে স্বাগত জানালেও সতর্ক করেছেন যে নীতির প্রয়োগে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে এই নীতি খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। তাঁর মতে, কোন ঋণগ্রহীতা আংশিক অবলোপনের যোগ্য হবেন—এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে, যাতে নীতিটি কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থে অপব্যবহার না হয়, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়ে।

    সমগ্র পরিস্থিতি ইঙ্গিত করে—আংশিক অবলোপন একটি প্রযুক্তিগত সমাধান হলেও এর কার্যকারিতা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সুশাসন, কঠোর তদারকি এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রয়োগের ওপর। এ নীতি খাতকে স্বস্তি দিতে পারে, তবে পুনর্গঠন ছাড়া খেলাপি সংকটের মূল রোগ নিরাময় হবে না। ●
    অকা/ব্যাংখা/ই/দুপুর/৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    সর্বশেষ হালনাগাদ 21 hours আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    জামানতহীন ঋণ বন্ধে আইএমএফের চাপ

    প্রভিশন ঘাটতিতে ব্যাংক খাতের চাপ আরও তীব্র

    একীভূত পাঁচ ব্যাংকের ডিলিস্টিং প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায়

    বেসরকারি খাতে ঋণে চার বছরের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

    মুদ্রাস্ফীতি কমলেও ঋণ প্রবাহে স্থবিরতা

    এনবিএফআই অবসায়নে শেয়ার বাজারে নতুন আতঙ্ক

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    জামানতহীন ঋণ বন্ধে আইএমএফের চাপ

    শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা

    খেলাপি ঋণ সংকটে আংশিক অবলোপন নীতি

    চার মাসের ধারাবাহিক পতনে উদ্বেগ বাড়ছে
    রফতানি আয় টানা চাপে

    প্রভিশন ঘাটতিতে ব্যাংক খাতের চাপ আরও তীব্র

    একীভূত পাঁচ ব্যাংকের ডিলিস্টিং প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায়

    বেসরকারি খাতে ঋণে চার বছরের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

    দাম কমলেও ভোক্তারা সুবিধা পাচ্ছেন না
    পাম অয়েলে বিশ্ববাজারে বড় পতন

    মিউচুয়াল ফান্ড খাতে গভীর অচলাবস্থা ও আস্থাহীনতার সংকট

    মুদ্রাস্ফীতি কমলেও ঋণ প্রবাহে স্থবিরতা

    এনবিএফআই অবসায়নে শেয়ার বাজারে নতুন আতঙ্ক

    বিআইপিডি এর উদ্যোগে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন

    ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের লিটারে ২ টাকা দাম বৃদ্ধি

    বৈদেশিক ঋণ – চার মাসে যত অর্থ ছাড়, প্রায় ততটাই পরিশোধ

    ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ -এর চূড়ান্ত অনুমোদন

    পেঁয়াজের বাজারে স্থায়ী অস্থিরতা

    ওষুধ শিল্পে মূল্য স্থবিরতা ও ব্যয় চাপের দ্বিমুখী সংকট

    ব্যাংকিংয়ে ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্যেও ৭৫% গ্রাহক এখনো অন্ধকারে

    চাহিদার ৪০% ঘাটতি
    গ্যাস-সংকটের চরম দুঃসময়

    পদ্মা ব্যাংকের ‘অর্থ পাচার’
    নাফিস সরাফাতসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৬১৩ কোটি টাকার মামলা

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.