অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
সরকার পোশাক শিল্প ও অন্যান্য কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ডাটাবেজ তৈরির কথা চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে যে শ্রমিকরা গ্রামে ফিরে গেছেন, অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার তাদেরও অনুদান দেয়ার চেষ্টা করছে।’
১৭ মে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারী ও সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত গার্মেন্ট শ্রমিক তারার মেলা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মাহফুজুর রহমান। ‘সুস্থ শ্রমিক শোভন কর্মপরিবেশ, উৎপাদনে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে জার্মানভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেডের সহযোগিতায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, উপপরিচালক রোখসানা চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য আফরোজা হক রীনা, বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতানউদ্দীন আহমেদ, জিআইজেডের অ্যাডভাইজার স্যাম হুসেইন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, কর্মজীবী নারীর সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবীরসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘উইমেন ক্যাফে শ্রমিকদের জন্য বিশ্রাম, বিনোদন, আত্মোন্নয়ন, সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলিং, লিগ্যাল কাউন্সেলিং এবং তথ্য ও সেবা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গার্মেন্ট শ্রমিক তারকামেলা অনুষ্ঠানটি তৈরি পোশাক শিল্প ও চামড়া শিল্পসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে।
পোশাক ও চামড়া শিল্পের প্রায় ৫০০ নারী ও পুরুষ শ্রমিকের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী তারকামেলায় শ্রমিক ও তাদের সন্তানরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও বাউল গান পরিবেশন করেন। এছাড়া স্বাধীন শাহর রচনা ও নির্দেশনায় তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটক ‘স্বপ্ন হলেও সত্যি’ পরিবেশন করে থিয়েটার আর্ট।
অকা/পশি/ফর/সকাল, ১৮ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে