অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
বিক্রির চাপের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্রয়মুখর হতে পারছে না দেশের পুঁজি বাজার। ঘুরে দাঁড়াতে না পারার কারণে বিনিয়োগকারীরাও পটপরিবর্তনে কোনো বিশ^াস পাচ্ছে না বাজারের প্রতি। যার কারণে বিক্রির চাপ অব্যাহত রয়েছে। বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান নতুন করে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরও বাজারে চোখে পড়ার মতো কোনো পরিবর্তন নাই। একটু বাড়লেই দু’দিন পরেই ধপাস। গতকালও ৩৮ শতাংশ ক্রেতার বিপরীতে বিক্রির চাপ ছিল ৫৭ শতাংশ। তিনটি খাতের কোম্পানির শেয়ারগুলো কোনো বিক্রেতা ছিল না।
১১ সেপ্টেম্বর লেনদেনের তথ্য থেকে জানা গেছে, ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টায় অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ২৬ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫ হাজার ৭২৯ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৪১ পয়েন্টে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৩ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১১৮ পয়েন্টে। বেলা সাড়ে ১২টার পর সূচকের গতিপথে চলে উত্থান-পতনের খেলা। শেষ পর্যন্ত ডিএসই-৩০ সূচক ছাড়া বাকি দুটো ইতিবাচক অর্থাৎ পয়েন্ট কিছু ফিরে পেয়েছে দিন শেষে।
ডিএসইএক্স ১১.১২৬ পয়েন্ট ফিরে পেয়ে পাঁচ হাজার ৭১৩.৯৫ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ৫.৫৬ পয়েন্ট ফিরে পেয়ে এক হাজার ২৪০.৯১ পয়েন্টে স্থির হয়। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৯২ পয়েন্ট হারিয়ে দুই হাজার ১০৭.৮০ পয়েন্টে নামে। ১৮ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৬২৫ কোটি ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৫ টাকা বাজারমূল্যে। ১০ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয়েছিল ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকার। লেনদেন বেড়েছে ৬২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার বা ১১ শতাংশ। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে দর বৃদ্ধিতে ১৬৩টি, দর পতনে ১৭২টি এবং দর অপরিবর্তিত ছিল ৬২টি কোম্পানির।
এ দিকে ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ১০ সেপ্টেম্বর ৩৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এসব কোম্পানির এক কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ৭৮১টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড মোট ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ ৪২ হাজার টাকায় হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ছয় কোম্পানি হলোÑ আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, অগ্নি সিস্টেমস, এসবিএসি ব্যাংক এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকারও বেশি। আর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের। কোম্পানিটির ৭ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৫ কোটি ৮১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার টাকায় অগ্নি সিস্টেমসের, এসবিএসি ব্যাংকের ৪ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকার এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লিমিটেডের ২ লাখ ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এ দিকে চট্টগ্রাম স্টকেও সিএসই-৩০ সূচক হারিয়েছে ১১.২২ পয়েন্ট। তবে প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৪.৫৭ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স ১৯.৮৪ পয়েন্ট ফিরে পেয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বৃদ্ধিতে ছিল ১১৪টি, দর পতনে ছিল ৯০টি এবং দর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টি কোম্পানির। ●
অকা/পুঁবা/ফর/সকাল/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে