অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যানজট নাগরিক জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা। মহানগরের রাস্তা আমাদের, অথচ তা নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই আমাদের। নাগরিকদের সেবক হিসেবে আমরা দীর্ঘদিনের বড় সমস্যাটির সমাধান দিতে অক্ষম। সিটি কর্পোরেশনকে রাস্তার দেখভাল ও শৃঙখলা রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হলে নাগরিক জীবনের বিশাল ও অসহনীয় সমস্যাটির সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
আজ ১৬ মার্চ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর অঙ্গ সংগঠন রিপোর্টার্স ভিলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন -২২ ’র অনুষ্ঠানে মেয়র এ অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথির ভাষণে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নগর বহুতল ভবনের কারণে রাস্তার আয়তন সংক্ষিপ্ত হয়ে আসছে! গৃহের পাশে সন্তানদের জন্য মাঠ নেই। পানি নিস্কাশনের জন্য নর্দমা নেই। দালান নকশায় মাঠের পরিকল্পনা থাকলেও নির্মাণের পর সে স্থান বাণিজ্যিক চিন্তায় ভরাট হয়ে যায়। প্রভাবশালী লোকরা ঢাকা মহানগরের বহু খাল দখল করে তাতে স্থাপনা ও ইমারত তৈরি করে রেখেছেন। আমরা কিছুটা তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকেই বলছেন এত যানজট কেন? মেয়ররা কী করেন? আমি তাই অনুনয়ের সঙ্গে বলবো, যেভাবে দখল হওয়া খালগুলো অবমুক্ত করার জন্য আমাদের হাতে দিয়েছেন, একইভাবে ট্রাফিক পুলিশ ডিপার্টমেন্টও আমাদের নিয়ন্ত্রণে দেন। তাহলে আমরা আপনাদের দেখাতে পারবো, কীভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কীভাবে যানজট কমাতে হয়। তিনি বলেন, এখনো সেই মান্ধাতার আমলের ট্রাফিক সিস্টেম চলছে। হাত দিয়ে গাড়ি থামানোর সিস্টেম বিশ্বের কোথাও এখন নেই। কেন আমরা এ কাজ ট্রাফিক লাইটের মাধ্যমে করতে পারি না? ডিজিটাল মাধ্যমে কেন পারি না? এখন সময় এসেছে এ বিষয়ে কথা বলার। তাই আমরা বলবো, ট্রাফিক পুলিশকে আমাদের আওতায় দিন। তখন যানজট কমে যাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন উত্তরা সংলগ্ন উত্তরখানের পুলারেটেকে সোসাইটির জন্য সমবায়ের ভিত্তিতে ২৮০ সাংবাদিকদের ক্রয়কৃত জমির পানি নিস্কাশনের অত্যাধুনিক নর্দমা ও রাস্তা নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাস দেন মেয়র মো, আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনার অতিমারিতে সারাদেশে ঝুঁকির মধ্যে সাংবাদিকরা কাজ করেছেন। রাস্তায় পড়ে থাকা করোনার শ্বাসকষ্টে মৃত এক পথিকের কথা উল্লেখ করে মেয়র আতিক বলেন, আপনাদের সংবাদে আমরা লোকটার পরের ব্যবস্থা গ্রহন করতে পেরেছি। সাংবাদিকগণ আমাদের কাজের সহায়ক শক্তি। তিনি আধুনিক সকল সুবিধা ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়ার জন্য সাংবাদিকদের আরও সহযোগিতা কামনা করেন। নগর বিটের সাংবাদিকদের বৃত্তির মাধ্যমে দেশের বাহিরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে মেয়র জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন তার ভাষণে দেশের যানজট নিরসনে রাস্তার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের ওপর প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন রিপোর্টার্স ভিলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এর সভাপতি আইয়ুব ভূঁইয়া।
#
অকা/নদ/বিকেল, ১৬ মার্চ, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 4 years আগে
