Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    বৃহস্পতিবার, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    স্বায়ত্তশাসন নামেই, বাস্তবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক

    জুলাই ১০, ২০২৪ ৬:২২ পূর্বাহ্ণ13
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
    শুরু থেকেই দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বিবেচিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নামেই, বাস্তবে এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।’ রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১২৭-এর (বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ ১৯৭২) বলে ১৯৭২ সালে পরিপূর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে যাত্রা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    এ বিষয়ে আইএমএফ এর বক্তব্য হলো বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ-১৯৭২-এর ১০, ১৫ ও ৭৭ ধারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য অর্জনে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে মধ্যমেয়াদে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পথে এটি অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে। এছাড়া আদেশটির ৮২ নম্বর ধারাও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের নিয়ন্ত্রণের অধীন করে তুলেছে।

    এর মধ্যে ধারা ১০ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা গভর্নরের ওপর ন্যস্ত। আর সরকার চার বছরের জন্য যে কাউকে গভর্নর নিযুক্ত করতে পারেন। মেয়াদ শেষে তার পুনর্নিয়োগের সুযোগও আছে। আর আদেশের ১৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, গভর্নর বা ডেপুটি গভর্নর যদি এমন কোনো কাজ করে থাকেন, যাতে তার ওপর প্রদত্ত আস্থা লঙ্ঘিত হয় অথবা যদি তার স্বীয় পদে বহাল থাকাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা যায়, তাহলে সরকার তাকে অপসারণ করতে পারবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক তথা দেশের ব্যাংক খাতের নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ। আইন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সদস্যদের নিয়োগ দেয় সরকার। আর বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশের ৭৭ ধারায় দেয়া ক্ষমতাবলে সরকার চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ বাতিলও করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের বাধ্যবাধকতা পালনে ব্যর্থ হয়েছে, এমনটি মনে করলেই হলো। আদেশের ৮২ (২) ধারা অনুসারে, বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যত বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীদের বাজেট, বেতন এবং ক্ষতিপূরণও সরকারের অনুমোদনসাপেক্ষে হয়ে থাকে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ-১৯৭২-এর ৩৮ (এ) ধারা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। যদিও গত এক যুগে কোনো গভর্নর সংসদের জবাবদিহিতার মুখে পড়েছেন, এমন নজির দেখা যায় না। এ অবস্থায় আইনি সীমাবদ্ধতাগুলো পর্যালোচনার ভিত্তিতে আইএমএফ বলছে, নীতিগত সমন্বয় জরুরি হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনকে অগ্রাধিকার দেয়া বাঞ্ছনীয়।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে ২৮ জুন ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিপোর্ট’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইএমএফ। ২০২৩ সালের ১৩-১৭ আগস্ট সংস্থাটির সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ট্রেনিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টারের (এসএআরটিটিএসসি) প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শনের পর সে আলোকে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এ প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে আইনি সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে ধরা হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান কার্যপদ্ধতির মূল্যায়ন করে বেশকিছু সুপারিশও করা হয়েছে।

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইনে যে স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন বাংলাদেশ ব্যাংকে দেয়া হয়েছে, সেটিও কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাশ কাটিয়েও এখন দেশের ব্যাংক খাতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে।

    ১৯৯৩-২০০৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ব্যাংক খাত পরিচালনা ও নীতি প্রণয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা শুধু আইনের বিষয় নয়। যে আইনগুলো আছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন কতটা হচ্ছে, সেটি নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আইন অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু যারা পদে আছেন, তাদের মানসিকতার ওপর আইনের যথাযথ প্রয়োগ নির্ভর করে।

    ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আইনি কাঠামো তৈরি না করেই আশির দশকে দেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের ভুল। পরবর্তী সময়ে এ ব্যাংকগুলো খারাপ হয়ে যায়। এ নিয়ে ২০০২ সাল-পরবর্তী সময়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। বেসরকারি ব্যাংকের ৭০ জন পরিচালককে ব্যাংকের ঋণ ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এর অন্যথায় পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ওই সময় ব্যাংক ঋণ পুনঃতফসিল, পরিচালকদের মেয়াদসহ বেশকিছু বিষয়ে আইন-কানুন শক্ত করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ভালো পথে চলতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু গত দেড় দশক ব্যাংক খাত ক্রমাগত খারাপের দিকে গেছে।’

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরেও এসএআরটিটিএসসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যপদ্ধতি মূল্যায়ন করে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে আইএমএফ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এসএআরটিটিএসইর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এসএআরটিটিএসইর মূল্যায়নের পর থেকে স্বায়ত্তশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাসন ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ সংশোধন করা হলেও সংস্থাটির সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন সীমিত রয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের ১০, ১৫ ও ৭৭ নং বিধান অনুসারে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ করতে পারে। সে সঙ্গে এ আদেশের ৮২ নং ধারা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, অগ্রাধিকার খাতে (গ্রামীণ ক্রেডিট ফান্ড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট ফান্ড, এক্সপোর্ট ক্রেডিট ফান্ড) ঋণ দেয়ার জন্য আর্থিক প্রক্রিয়া সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশের বিধানগুলো পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। আধা-আর্থিক প্রকৃতির এ ধরনের কর্মকাণ্ড তারল্য ব্যবস্থাপনাকে জটিল এবং আর্থিক নীতির প্রচারকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে এগুলো নতুন মুদ্রা ব্যবস্থার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। সে সঙ্গে এ স্কিমগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এমন যেকোনো ভর্তুকি আর্থিক হিসাবের মাধ্যমে আরো ভালোভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে।

    আইএমএফ বলেছে, সুদহারসংক্রান্ত তিন ধরনের রেট বা হারের সহাবস্থান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। এ তিন ধরনের রেট হচ্ছে ব্যাংক রেট, পলিসি রেট ও ‘স্মার্ট’ (এর মধ্যে ‘স্মার্ট’ সুদহার বাজারভিত্তিক করে দেয়ায় বাতিল হয়ে গেছে’)। বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশের ২১ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয় ব্যাংক রেট। এছাড়া বিধিবদ্ধ সংরক্ষিত তারল্য (সিআরআর) সম্পর্কিত শাস্তির ভিত্তি হিসেবেও এটি কাজ করে। পলিসি রেট হলো নতুন মুদ্রানীতির অংশ। অন্যদিকে নতুন মুদ্রানীতি প্রণয়নের সময় চালু করা হয়েছিল ‘স্মার্ট’। দাপ্তরিক কাজে এমন কয়েক ধরনের হার থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জটিল হয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মত না হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের যথেষ্ট আইনি স্বাধীনতা আছে। তবে সে আইনের বাস্তব প্রয়োগ হচ্ছে না।

    তিনি বলেন, ‘সরকারের চাওয়ার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে আমরা সেটির প্রতিফলন দেখছি। ব্যাংক খাত থেকে সরকার যে পরিমাণ ঋণ চাচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটিই ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। অথচ সরকারের কথা না শোনার জন্য আমাদের কোনো গভর্নরকে পদচ্যুত করা হয়েছে, এমন নজির নেই।’

    আইনে বাংলাদেশ ব্যাংককে জাতীয় সংসদের কাছে জবাবদিহির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের জবাবদিহিতা দৃশ্যমান নয় কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গভর্নর থাকা অবস্থায় আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে হাজির হয়েছি। সে সময় স্থায়ী কমিটিগুলোর যথেষ্ট তৎপরতা ছিল। কিন্তু এখন কমিটিগুলোর কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন আছে। গভর্নর যদি সংসদের কাছে ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জবাবদিহির বিষয়ে বাধ্য হতেন, তাহলে দেশ উপকৃত হতো।’

    স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করা ধারাগুলো সংশোধনের বিষয়ে সুপারিশ করেছে আইএমএফ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যকর স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা দরকার। প্রকৃতিগতভাবে এটি স্বায়ত্তশাসিত হলেও এর আর্থিক নীতি পরিচালনায় সরকারের ভূমিকা সম্পর্কিত আইনি বিধানগুলো কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এসব অনিশ্চয়তা বাজারের স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশের বিধানগুলো সংশোধন করা দরকার।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের জবাবদিহির কাঠামোও উন্নত করা দরকার বলে মনে করে আইএমএফ। এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। তবে এর আর্থিক নীতির প্রাথমিক উদ্দেশ্যের অনুপস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে জটিল করে তুলেছে। একবার মুদ্রানীতির প্রাথমিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশে অন্তর্ভুক্ত জবাবদিহিতার বিধানগুলো মেনে চলতে হবে। এছাড়া অগ্রাধিকার খাতে সরাসরি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পৃক্ততা দূর করা উচিত বলেও মনে করে আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, রাজস্ব নীতির মাধ্যমেই সরকারের এ নীতিগুলো স্বচ্ছ ও ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংক রেটকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি রেট হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। শুধু একটি অফিশিয়াল রেট থাকলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা সহজতর এবং তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এ ধরনের সংস্কার বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত নতুন প্রবর্তিত পলিসি রেটে জোর দিয়ে ব্যাংক রেটের ভূমিকা কমানো উচিত।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আইনে থাকলেও “লিডারশিপ” যদি স্বাধীনচেতা না হয়, তাহলে কোনো প্রতিষ্ঠানই স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগে যোগ্যতার কোনো মাপকাঠি নেই। সরকার যে কাউকে এখানে গভর্নর পদে নিয়োগ দিতে পারে। স্বায়ত্তশাসন বিষয়টি আইনি কাঠামো চেয়েও চর্চার বিষয়। আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা হয়তো আছে, তারচেয়েও বড় সীমাবদ্ধতা হলো আমাদের মননে। যে যেভাবেই বলুক, বাংলাদেশের মতো দেশে সরকার না চাইলে গভর্নর পদে থাকা যায় না।’

    অকা/জ্বালানি/ফর/সকাল/১০ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

    সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে

    আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংক

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    কৃত্রিম মুনাফায় বোনাস বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর বিধিনিষেধ

    সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকে আমানত ফেরত – ধাপে উত্তোলন স্কিম চূড়ান্ত

    চাহিদা কমায় বাজারে মন্থরতার ছায়া
    নিলামে ডলার কেনায় স্থিতিশীলতা

    রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও এনবিএফআই সংকটে শেয়ার বাজারে টানা দরপতন

    জামানতহীন ঋণ বন্ধে আইএমএফের চাপ

    খেলাপি ঋণ সংকটে আংশিক অবলোপন নীতি

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    কৃত্রিম মুনাফায় বোনাস বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর বিধিনিষেধ

    সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকে আমানত ফেরত – ধাপে উত্তোলন স্কিম চূড়ান্ত

    চাহিদা কমায় বাজারে মন্থরতার ছায়া
    নিলামে ডলার কেনায় স্থিতিশীলতা

    অনলাইন ভ্যাট রিফান্ডে স্থবিরতা

    নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আবারও ঊর্ধ্বমুখী

    রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও এনবিএফআই সংকটে শেয়ার বাজারে টানা দরপতন

    জামানতহীন ঋণ বন্ধে আইএমএফের চাপ

    শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা

    খেলাপি ঋণ সংকটে আংশিক অবলোপন নীতি

    চার মাসের ধারাবাহিক পতনে উদ্বেগ বাড়ছে
    রফতানি আয় টানা চাপে

    প্রভিশন ঘাটতিতে ব্যাংক খাতের চাপ আরও তীব্র

    একীভূত পাঁচ ব্যাংকের ডিলিস্টিং প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায়

    বেসরকারি খাতে ঋণে চার বছরের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

    দাম কমলেও ভোক্তারা সুবিধা পাচ্ছেন না
    পাম অয়েলে বিশ্ববাজারে বড় পতন

    মিউচুয়াল ফান্ড খাতে গভীর অচলাবস্থা ও আস্থাহীনতার সংকট

    মুদ্রাস্ফীতি কমলেও ঋণ প্রবাহে স্থবিরতা

    এনবিএফআই অবসায়নে শেয়ার বাজারে নতুন আতঙ্ক

    বিআইপিডি এর উদ্যোগে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন

    ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের লিটারে ২ টাকা দাম বৃদ্ধি

    বৈদেশিক ঋণ – চার মাসে যত অর্থ ছাড়, প্রায় ততটাই পরিশোধ

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.