অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●

বিবিএস মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করে ৬ মার্চ। বিবিএসের হিসাব অনুসারে, চার মাস ধরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট জানান, শীতের শাকসবজির দাম বেশ কম। চালের বাজারও খুব বেশি পরিবর্তন নেই। অর্থাৎ ১০ মাস পর খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নামল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসের পর খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আর এক অঙ্কের ঘরে নামেনি। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ এত দীর্ঘ সময় ধরে ভোগান্তিতে পড়েননি। গত মার্চ মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। ধরুন, আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আপনার আয় না বাড়লে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার মতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এনবিআরও তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর কমিয়ে দেয়। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানিপ্রবাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়।

ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যদি আপনার বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনে সংসারের খরচ চালাতে ১০০ টাকা খরচ হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একই পণ্য ও সেবা কিনে সংসার চালাতে খরচ লাগল ১০৯ টাকা ৩২ পয়সা। প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৩২ পয়সা।

বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। জানুয়ারি মাসে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার হয় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। ●

অকা/বাণিজ্য/ফর/সন্ধ্যা/৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

সর্বশেষ হালনাগাদ 10 months আগে

Leave A Reply

Exit mobile version