Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    সোমবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    রাজস্ব খাতের বড় সংস্কার: এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি নতুন বিভাগ গঠন

    মে ১৪, ২০২৫ ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ11
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
    বাংলাদেশের রাজস্ব খাত এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সম্মুখীন। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক ধরে দেশের রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও আদায়ের একক দায়িত্ব পালনকারী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গত ১২ মে জারি করা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
    প্রতিষ্ঠার পর থেকে এনবিআর বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। তবে, সময়ের সাথে সাথে কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং কর-জিডিপি অনুপাতের হতাশাজনক চিত্র (বর্তমানে মাত্র ৭.৪ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন স্তরের মধ্যে অন্যতম) প্রতিষ্ঠানটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। নীতি প্রণয়ন এবং একইসাথে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানের উপর ন্যস্ত থাকায় কার্যক্ষেত্রে একটি অন্তর্নিহিত সংঘাত তৈরি হচ্ছিল বলে মনে করে সরকার। এই কাঠামোগত দুর্বলতা রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা অর্জনের পথে প্রধান বাধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাও সাক্ষ্য দেয় যে, নীতি নির্ধারণ এবং আদায়কারী সংস্থা পৃথক হলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রেক্ষাপটেই এনবিআর-এর বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার মূল লক্ষ্য হলো রাজস্ব কাঠামোকে যুগোপযোগী করা এবং কর ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনা।
    এনবিআর-এর বিলুপ্তির ফলস্বরূপ দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ আত্মপ্রকাশ করেছে, যা রাজস্ব ব্যবস্থাপনার দুটি প্রধান স্তম্ভকে শক্তিশালী করবে: রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ। রাজস্ব নীতি বিভাগ মূলত দেশের কর সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞতা অর্জন করবে। এর দায়িত্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বিভিন্ন ধরনের করের (আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), কাস্টমস শুল্ক, সম্পদ কর, সম্পূরক শুল্ক, সারচার্জ) হার নির্ধারণ ও পরিবর্তন, কর অব্যাহতি নীতি প্রণয়ন, স্ট্যাম্প আইনসহ অন্যান্য রাজস্ব সংশ্লিষ্ট আইনের প্রবর্তন ও সংশোধন এবং এই সকল কর ও আইনের নীতিগত নির্দেশনা প্রদান। এছাড়াও, রাজস্ব আইনের ব্যাখ্যা প্রদান এবং প্রয়োজনে সংশোধনের সুপারিশ করার ক্ষমতাও এই বিভাগের উপর ন্যস্ত থাকবে। এই বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন অর্থনীতি, রাজস্বনীতি, পরিসংখ্যান, আইন বা প্রশাসনে গভীর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পেশাদার ব্যক্তিরা। সরকারের বিবেচনায় যেকোনো উপযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাকে এই বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণের জন্য অর্থনীতিবিদ, রাজস্ব বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে, যা নিয়মিতভাবে বিভাগটিকে মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করবে।
    অপরদিকে, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগটি মাঠ পর্যায়ে কর আহরণ এবং তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের উপর বিশেষভাবে মনোযোগ দেবে। এই বিভাগের প্রধান কাজগুলির মধ্যে রয়েছে বর্তমানে প্রচলিত সকল রাজস্ব আইন ও বিধিবিধানের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক কর সংক্রান্ত চুক্তি (যেমন দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি) বাস্তবায়ন করা, করসেবার মানোন্নয়ন এবং কর জালের বিস্তার ঘটানো। এছাড়াও, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন ও কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবন, রাজস্ব প্রশাসনে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল কাঠামো তৈরি এবং কর ফাঁকি ও অনিয়ম রোধে নিয়মিত নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করাও এই বিভাগের দায়িত্ব। পূর্ববর্তী এনবিআর-এর কর্মরত কর্মীরা প্রাথমিকভাবে এই বিভাগের অধীনে কাজ করবেন, তবে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক কর্মীকে রাজস্ব নীতি বিভাগেও পদায়ন করার সুযোগ থাকবে।
    রাজস্ব খাতের এই মৌলিক পরিবর্তনকে অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। তাদের মতে, নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার পৃথকীকরণ একটি আধুনিক ও কার্যকর রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অপরিহার্য শর্ত। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এই ধরনের কাঠামোই প্রচলিত। তিনি মনে করেন, নীতি নির্ধারকদের কাছ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের দায়িত্ব সরিয়ে নিলে স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে। সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের কর প্রশাসনের দীর্ঘদিনের দুর্বলতা দূর করে আধুনিকীকরণের পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশেষ করে, এতদিন যারা করের আওতার বাইরে ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। তবে, এই পরিবর্তনের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলিও আলোচনায় উঠে এসেছে। সাবেক এনবিআর কর্মকর্তাদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, নতুন কাঠামোয় প্রশাসন ক্যাডারের আধিপত্য বৃদ্ধি পেতে পারে, যা রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শুল্ক ও কর ক্যাডারের জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এই আশঙ্কা দূর করতে নতুন বিভাগগুলোতে উপযুক্ত পেশাদারদের নিয়োগ এবং তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
    সরকারের এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দুটি স্বতন্ত্র বিভাগের মাধ্যমে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যেকার সমন্বয় বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি কর আদায়ের দক্ষতাও বাড়বে বলে আশা করা যায়। তবে, এই নতুন কাঠামো কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং এর সুফল সাধারণ মানুষ ও অর্থনীতি কত দ্রুত উপলব্ধি করতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে। এই পরিবর্তন নিঃসন্দেহে দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে একটি মাইলফলক এবং একটি আধুনিক, টেকসই ও জনবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ●
    অকা/রা/দুপুর/ ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    সর্বশেষ হালনাগাদ 7 months আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা

    মিউচুয়াল ফান্ড খাতে গভীর অচলাবস্থা ও আস্থাহীনতার সংকট

    পদ্মা ব্যাংকের ‘অর্থ পাচার’
    নাফিস সরাফাতসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৬১৩ কোটি টাকার মামলা

    লায়ন মাধবী সাহার শ্রাদ্ধবাসর আজ

    ব্যাংক খাতে লুকানো খেলাপির বিস্ফোরণ

    ২০১৬ সালের পর বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাসে গতি কমেছে

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    জামানতহীন ঋণ বন্ধে আইএমএফের চাপ

    শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা

    খেলাপি ঋণ সংকটে আংশিক অবলোপন নীতি

    চার মাসের ধারাবাহিক পতনে উদ্বেগ বাড়ছে
    রফতানি আয় টানা চাপে

    প্রভিশন ঘাটতিতে ব্যাংক খাতের চাপ আরও তীব্র

    একীভূত পাঁচ ব্যাংকের ডিলিস্টিং প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায়

    বেসরকারি খাতে ঋণে চার বছরের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

    দাম কমলেও ভোক্তারা সুবিধা পাচ্ছেন না
    পাম অয়েলে বিশ্ববাজারে বড় পতন

    মিউচুয়াল ফান্ড খাতে গভীর অচলাবস্থা ও আস্থাহীনতার সংকট

    মুদ্রাস্ফীতি কমলেও ঋণ প্রবাহে স্থবিরতা

    এনবিএফআই অবসায়নে শেয়ার বাজারে নতুন আতঙ্ক

    বিআইপিডি এর উদ্যোগে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন

    ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের লিটারে ২ টাকা দাম বৃদ্ধি

    বৈদেশিক ঋণ – চার মাসে যত অর্থ ছাড়, প্রায় ততটাই পরিশোধ

    ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ -এর চূড়ান্ত অনুমোদন

    পেঁয়াজের বাজারে স্থায়ী অস্থিরতা

    ওষুধ শিল্পে মূল্য স্থবিরতা ও ব্যয় চাপের দ্বিমুখী সংকট

    ব্যাংকিংয়ে ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্যেও ৭৫% গ্রাহক এখনো অন্ধকারে

    চাহিদার ৪০% ঘাটতি
    গ্যাস-সংকটের চরম দুঃসময়

    পদ্মা ব্যাংকের ‘অর্থ পাচার’
    নাফিস সরাফাতসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৬১৩ কোটি টাকার মামলা

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.