Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    বুধবার, ১৬ পৌষ, ১৪৩২ | ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    রক্তক্ষরণ থামলেও আস্থাহীন অর্থনীতির দুষ্টচক্র কাটেনি

    ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ0
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●

    অন্তর্বর্তী সরকারের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এখনো দৃশ্যমানভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে—অর্থনীতির দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণ অনেকটাই থেমেছে। লাগাম পড়েছে লুটপাটে, নিয়ন্ত্রণে এসেছে অর্থনীতির লাগাতার নিম্নমুখী ধারা। ডলার সংকট অনেকাংশে কেটে গেছে, টাকার মানে ফিরে এসেছে স্থিতিশীলতা। মূল্যস্ফীতির হার ধীরে ধীরে কমলেও এখনো তা ঝুঁকিপূর্ণ স্তরেই রয়ে গেছে। কিন্তু অর্থনীতিকে টেকসই পথে ফেরানোর প্রধান শর্ত—আস্থা—এখনো ফিরেনি। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা কাটেনি, ঋণের সুদহার উচ্চই রয়ে গেছে, বেসরকারি খাতের মন্দা ভাঙেনি। ফলে বিনিয়োগ স্থবির, কর্মসংস্থানের গতি অত্যন্ত ধীর।

    করোনার অভিঘাত শুরু হওয়ার পর ২০২০ সাল থেকেই অর্থনীতিতে বড় ধরনের মন্দা দেখা দেয়। গত পাঁচ বছর ধরে কমবেশি সেই মন্দা চলমান। দীর্ঘস্থায়ী এই চাপ অর্থনীতিকে এক ধরনের দুষ্টচক্রে আটকে ফেলেছে—যেখানে বিনিয়োগ না থাকায় কর্মসংস্থান বাড়ছে না, কর্মসংস্থান না বাড়ায় ভোক্তার আয় বাড়ছে না, আর আয় না বাড়ায় বাজারে চাহিদাও ফিরছে না।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের দেড় বছরে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে বৈদেশিক খাতে স্বস্তি ফিরেছে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ খাতে অস্বস্তি বরং আরও প্রকট হয়েছে। সরকারের কঠোর অবস্থানের ফলে দেশ থেকে টাকা পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে, আমদানি নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার চাপও কমেছে। বকেয়া বৈদেশিক ঋণের বড় অংশ পরিশোধ হওয়ায় ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়েছে। এর প্রভাবে টাকার মান শক্ত হয়েছে। একসময় যেখানে ডলারের দাম ১৩২ টাকায় উঠেছিল, সেখানে এখন তা ১২২ টাকার আশপাশে নেমে এসেছে।

    গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ, চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশের বেশি। রপ্তানি আয় গত অর্থবছরে বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ, যদিও চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এই প্রবৃদ্ধি এক শতাংশের নিচে। আগের সরকারের সময়ে এই দুই খাতেই প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক। হুন্ডি ও অর্থ পাচারের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছিল না। এখন সেই প্রবণতা অনেকটাই কমেছে।

    আমদানির ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন এসেছে। আগের সরকারের সময়ে আমদানির নামে ব্যাপক অর্থ পাচার হলেও বর্তমানে তা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণে। ডলার সংকট কাটায় জানুয়ারি থেকে আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও আমদানি বাড়ছে, তবে তা নিয়ন্ত্রিত মাত্রায়। একসময় নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ১৭ বিলিয়ন ডলারে, বর্তমানে তা বেড়ে প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

    তবে ইতিবাচক এই চিত্রের মাঝেও নতুন উদ্বেগ তৈরি করছে রপ্তানি খাত। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা চ্যালেঞ্জে টানা চার মাস রপ্তানি আয় কমেছে। রপ্তানি খাতের কাঁচামাল আমদানি প্রায় ১৪ শতাংশ কমে যাওয়ায় সামনে আরও চাপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও শিল্প যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে শিল্প খাতে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

    অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির চিত্র এখনো হতাশাজনক। ব্যাংক খাতে আগের সরকারের লুটপাট বন্ধ হলেও তার ভয়াবহ উত্তরাধিকার এখন সামনে আসছে। যত তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে, খেলাপি ঋণের অঙ্ক তত ফুলে-ফেঁপে উঠছে। এক সময় খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায়। ফলে ব্যাংক খাতের তারল্য ও স্থিতিশীলতা মারাত্মক চাপে পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সহায়তা দিলেও উদ্যোক্তাদের চাহিদা না থাকায় ঋণ বিতরণ বাড়ছে না।

    রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিনিয়োগের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে ঝুঁকছেন না; কেবল বিদ্যমান ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এর প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ঐতিহাসিকভাবে নিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি মাত্র শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ, যেখানে আগের বছর একই সময়ে তা ছিল বহুগুণ বেশি।

    বিদেশি বিনিয়োগও স্থবির। নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ আসছে না বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রে এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে ঋণ বা অর্জিত মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ করে বিনিয়োগের পরিসংখ্যান বড় করে দেখানো হচ্ছে।

    মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে টানা চার বছর ধরে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এতে বাজারে টাকার প্রবাহ কমেছে, সুদের হার বেড়ে ১২ থেকে ১৮ শতাংশে পৌঁছেছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি এখনো ৮ শতাংশের ওপরে। দীর্ঘদিনের উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষের আয় কমেছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, সঞ্চয় ভেঙে শেষ হয়ে আসছে। স্বল্প আয়ের মানুষ এখন সঞ্চয়হীন ও ঋণগ্রস্ত।

    আইএমএফের পরামর্শে করের বোঝা বাড়ানো হলেও রাজস্ব আয় প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি। ব্যয় কমেনি, বরং বেড়েছে। ফলে সরকারকে উন্নয়ন ব্যয় কমিয়েও ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

    সব মিলিয়ে বলা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অর্থনীতির অবাধ পতন থেমেছে, বৈদেশিক খাতে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু আস্থা সংকট, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, উচ্চ সুদহার ও ব্যাংক খাতের দুর্বলতা কাটাতে না পারলে এই স্থিতিশীলতা টেকসই হবে না। চলমান সংস্কার কার্যক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ধীরে ধীরে সুফল আসতে পারে—এই আশাতেই এখন অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে। ●
    অকা/প্র/ই/সকাল/২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    সর্বশেষ হালনাগাদ 1 week আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    রেমিট্যান্সের জোয়ারে ডলার কেনা – শক্ত হচ্ছে রিজার্ভ

    আস্থা সংকটে শেয়ার বাজার – বিনিয়োগশূন্য হচ্ছে হাজারো বিও হিসাব

    শীতের হাওয়ায় বাজারে স্বস্তি – সবজির দামে স্পষ্ট পতন

    বিদেশি ঋণে স্থানীয় সরকার – সক্ষমতা বাড়েনি, বেড়েছে দায়

    মাঝারি স্ট্যাগফ্লেশনের ছায়ায় বাংলাদেশ – প্রবৃদ্ধি থমকে, আয়ে চাপ

    নতুন কোম্পানি না থাকায় স্থবির শেয়ার বাজার
    ১৬ মাসে আইপিও শূন্যতা

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    বড় কোম্পানির দরপতনে চাপের মুখে শেয়ার বাজার

    রেমিট্যান্সের জোয়ারে ডলার কেনা – শক্ত হচ্ছে রিজার্ভ

    আস্থা সংকটে শেয়ার বাজার – বিনিয়োগশূন্য হচ্ছে হাজারো বিও হিসাব

    এক বছরের ব্যবধানে নিট রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার

    শীতের হাওয়ায় বাজারে স্বস্তি – সবজির দামে স্পষ্ট পতন

    বিদেশি ঋণে স্থানীয় সরকার – সক্ষমতা বাড়েনি, বেড়েছে দায়

    মাঝারি স্ট্যাগফ্লেশনের ছায়ায় বাংলাদেশ – প্রবৃদ্ধি থমকে, আয়ে চাপ

    একীভূত ইসলামী ব্যাংক – আমানত উত্তোলনে শিগগিরই সীমিত ছাড়

    নতুন কোম্পানি না থাকায় স্থবির শেয়ার বাজার
    ১৬ মাসে আইপিও শূন্যতা

    বৈদেশিক ঋণ কমছে – ঋণ পরিশোধ বাড়লেও বিনিয়োগ স্থবিরতার ইঙ্গিত

    স্থিতিশীলতার চেয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে কি?
    ক্লোজ-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডে নতুন বিধান

    রক্তক্ষরণ থামলেও আস্থাহীন অর্থনীতির দুষ্টচক্র কাটেনি

    বোনাস ডিভিডেন্ড অনুমোদনে বৈষম্য – বিএসইসির সিদ্ধান্তে প্রশ্ন

    প্রবৃদ্ধি থাকলেও ঘাটতিতে এনবিআরের রাজস্ব আদায়

    ডিজিটাল সাবমিশনে যুগান্তকারী পরিবর্তন ডিএসইর শেয়ার বাজারে

    ডিআরইউ সদস্যদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বুথ উদ্বোধন

    ১০ শতাংশ বিশেষ সহায়তার দাবি
    অস্তিত্ব সংকটে দেশের টেক্সটাইল খাত

    বিদেশি পুঁজি প্রত্যাহারে চাপের মুখে দেশের শেয়ার বাজার

    দরপতন ও আস্থার সংকটে শেয়ার বাজার – কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

    লোকসান ও সংকটে শেয়ার বাজারে ৫৭ কোম্পানির শূন্য ডিভিডেন্ড

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.