অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড ব্যবস্থাপনায় পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম। এর ফলে ব্যবসায়ীরা আবারো অনলাইনে আমদানি-রফতানির নথিপত্র জমা দিতে পারছেন দূর-দূরান্ত থেকেও।
এদিকে টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকায় পণ্যের শুল্কায়ন ও খালাস কার্যক্রমে তৈরি হয়েছে বাড়তি চাপ। ইন্টারনেট সেবা চালুর ফলে গেট পাস ইস্যু করতে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান বন্দর থেকে বের হতে শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পুরোদমে চালু হওয়ায় ২৪ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৮১৯টি আমদানি ও রফতানি চালানের নথি (বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট) জমা দিতে পেরেছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রফতানি চালানের নথি ছিল ৬ হাজার ৭১৮টি। বাকি ১ হাজার ১০১টি চালানের নথি দাখিল করা হয়েছে আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে চলেছে দাখিল হওয়া এসব নথির শুল্কায়ন কার্যক্রম। এর আগে ২৩ জুলাই সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সক্রিয় করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড ২৪ জুলাই থেকে পুরোপুরি সক্রিয় হয়েছে। দূরের ব্যবসায়ীরাও এ ব্যবস্থাপনায় শুল্কায়নের জন্য নথিপত্র জমা দিতে পারছেন। যদিও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে চারটি কম্পিউটারে অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছিল।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে স্ষ্টৃ সংঘাতের কারণে ১৮ জুলাই থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে কোনো চালানের নথি জমা দিতে পারেননি চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীরা। এতে করে নতুন চালানের শুল্কায়নও বন্ধ ছিল। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হওয়ার আগে যেসব আমদানি ও রফতানি চালানের নথিপত্র অনলাইনে জমা দেয়া হয়েছিল কিংবা শুল্কায়ন হয়েছে, সেসব চালানের কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া গেছে।
গালফ বিডি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ওবায়দুল হক আলমগীর বলেন, ‘এখন যেকোনো স্থান থেকেই আমদানি-রফতানি চালানের নথি জমা দেয়া যাচ্ছে। বেশকিছু আমদানি চালানের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর পণ্য খালাসও করেছি। তবে ব্যাংকিং সেবা চালু হলেও পরিবহন নিয়ে সংকটের আশঙ্কা রয়ে গেছে।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য স্থানান্তর ও জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম সচল রয়েছে। এর আগে কারখানা থেকে আসা রফতানি পণ্যবাহী গাড়ি কয়েকদিন ধরে বন্দরে আটকে থাকলেও গতকাল থেকে গতি পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ২৪ জুলাই থেকে বন্দর চত্বর থেকে কনটেইনার খুলে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা বেসরকারি ডিপোসহ হিসাব করলে ডেলিভারি তিন হাজার একক ছাড়িয়েছে। ●
অকা/শিবা/ফর/সকাল/২৫ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে

