অর্থকাগজ প্রতিবেদন 

এখন থেকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে করদাতাদের আর কোনো কাগজপত্র বা দলিলাদি আপলোড করতে হবে না। শুধু প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করলেই রিটার্ন দাখিল সম্পন্ন হবে—এমন সুবিধা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে আগের তুলনায় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল এখন আরও সহজ ও দ্রুততর হলো।

চলতি অর্থবছর থেকে কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সকল করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। এনবিআর সূত্র জানায়, গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন।

করদাতাদের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য যে দলিল বা প্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি হবে, সেগুলো নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে। নিরীক্ষার সময় কর কর্মকর্তারা চাইলে এসব কাগজপত্র প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হতে পারে।

রিটার্ন প্রস্তুতে যেসব তথ্য লাগবে, তার মধ্যে রয়েছে—বেতনের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজ থেকে প্রাপ্ত সুদের সনদ, বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্র ও পৌর করের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, সম্পদ ক্রয়–বিক্রয়ের চুক্তিপত্র ও রসিদ, লভ্যাংশের ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, এবং উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট।

এ ছাড়া কর রেয়াত পেতে প্রয়োজন হবে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র—যেমন জীবন বিমার প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিল বা কল্যাণ তহবিলে চাঁদার সনদ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস), কিংবা জাকাত তহবিলে দানের সনদ।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য করদাতাকে প্রথমে এনবিআরের ওয়েবসাইটে (https://www.etaxnbr.gov.bd নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের সময় টিআইএন নম্বর এবং বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। রিটার্ন জমা দিলে সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি রসিদ পাওয়া যাবে।

কর পরিশোধও এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল। ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদসহ অন্যান্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করা যাবে।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সময় কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য এনবিআরের কল সেন্টার ও অনলাইন হেল্পডেস্ক সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। 
অকা/রা/ই/সকাল/২৬ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

সর্বশেষ হালনাগাদ 12 hours আগে

Leave A Reply

Exit mobile version