অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নানা অফার নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনের পর্যটন মেলা। ৩০ অক্টোবর শুরু হয়ে মেলা চলবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলাটি বরাবরের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হবে রাজদানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে। দেশের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ ও পর্যটন মেলার এটি ১৩তম আসর, যার আয়োজক ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
টোয়াবের সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় কালে জানান, বাংলাদেশে পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে এর পূর্ণ বাস্তবায়নের পথে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যথাযথ অবকাঠামোর ঘাটতি, দ জনবলের অভাব, পরিকল্পিত পর্যটন নীতি ও তার প্রয়োগে দুর্বলতা, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত সমস্যা আমাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে অন্তরায় হয়ে আছে। এসব সমস্যার টেকসই সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ, আন্তর্জাতিকমানের প্রশিণ ও গন্তব্য উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। টোয়াব সভাপতি বলেন, সাংবাদিকরা এই সমস্যাগুলোর ওপর আলোকপাত করে কার্যকর সমাধানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে যা পর্যটন খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
পর্যটন মেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন করে আসছে টোয়াব। দেশের পর্যটন খাতে তারা মূল অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। মেলাটি শুধু দেশের পর্যটন শিল্পেই নয়, বরং প্রতিবেশী ও দণি এশিয়ার দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশী-বিদেশী অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এবারের আয়োজনে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং চীনসহ মোট ২২০টি স্টল থাকবে। প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (এনটিও), বিদেশী ট্যুর অপারেটর ও অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকবে রাউন্ড টেবিল আলোচনা, সেমিনার, গন্তব্য উপস্থাপনা, সংবাদ সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব সুযোগ যেকোনো অংশগ্রহণকারীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ●
অকা/পর্যটন/ফর/রাত/২৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 3 months আগে

