অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
সদ্য বিদায়ী অর্থ বছরের তুলনায় নতুন অর্থ বছরে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং খাদ্যনিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কৃষি খাতে প্রায় ৭ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে, যার পরিমাণ ২ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। তবে এতেও স্বস্তিতে থাকবেন না দেশের কৃষকেরা।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে সারের দাম বেড়েছে ১০৫ শতাংশ। দাম বাড়ার তালিকায় আছে জ্বালানি তেল, বীজসহ সব কৃষি উপকরণ। এতে ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষককে পড়তে হচ্ছে গ্যাঁড়াকলে। এর মধ্যে তাপপ্রবাহ ও সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় রিমাল কৃষিতে ত তৈরি করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কৃষকের উৎকণ্ঠার মধ্যে এসেছে নতুন বাজেট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেটে কৃষি বরাবরই গতানুগতিক। কৃষকের স্বার্থ রায় নতুন কিছু নেই।
নতুন অর্থ বছরের বাজেটে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মন্ত্রণালয়ে বাজেট বেড়েছে মাত্র ২ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। অথচ মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশ।
ভর্তুকি ও প্রণোদনায় বরাদ্দ আগের অর্থ বছরের তুলনায় কম ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৭ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ছিল ১৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের েেত্র গবাদি পশু এবং হাঁস-মুরগির টেকসই জাত উন্নয়ন, সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদন দ্বিগুণ করার কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, খামারি ও জেলেদের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত বাজেটে ৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি খাতে অনেক বেশি বরাদ্দ দেওয়ার দরকার ছিল। সেটি দেওয়া হয়নি। গত বছরের চেয়ে এবার সব কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে। ●
অকা/কৃষি/ফর/সন্ধ্যা/ ৭ জুন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 2 years আগে
