অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
অনলাইনে ভুয়া তথ্য দিয়ে পণ্য বিক্রি করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা—or উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। সময়মতো পণ্য বা সেবা সরবরাহ না করলে মূল্যের কয়েক গুণ পর্যন্ত জরিমানা আরোপের বিধানও থাকছে। এ-সংক্রান্ত বিধান যুক্ত করে ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। অধ্যাদেশ পাশ হলে ‘ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি নতুন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা গঠন করা হবে। নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চার সদস্যের এই সংস্থা ডিজিটাল বাণিজ্য তদারকি, বিরোধ নিষ্পত্তি ও প্রতারণা প্রতিরোধে কাজ করবে।
খসড়ায় অনলাইনে প্রদর্শিত প্রতিটি পণ্যের মূল্য, অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়া ও সরবরাহের সময়সীমা স্পষ্টভাবে উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া ডিজিটাল বা গিফট কার্ড, ওয়ালেট বা ক্যাশ ভাউচার চালু করলে জরিমানা গুনতে হবে। অনলাইনে লটারির আয়োজন করলেও থাকবে বড় অঙ্কের জরিমানা।
এ ছাড়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বা নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি, ওষুধে ব্যবহারবিধি বা মেয়াদ না দেওয়া এবং অসত্য বিজ্ঞাপন প্রচারের মতো কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দণ্ডনীয় হবে। নতুন আইনে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য লাইসেন্স ও ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িত হলে নিবন্ধন বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে কর্তৃপক্ষের।
তবে অনলাইন ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং, অনলাইন জুয়া, লটারি, যৌন উত্তেজক দ্রব্য ও অনলাইন এসকর্ট সেবা এই আইনের আওতার বাইরে থাকবে। ●
অকা/প্র/ই/সকাল/১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 2 weeks আগে