অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
এখন থেকে যেদিন রফতানি আয় নগদায়ন করা হবে – সেদিনের ডলারের বিনিময় দর অনুসারে টাকা পাবেন রফতানিকারকরা। ফলে তারা দেরীতে নগদায়ন করলেও ডলারের বাড়তি দর পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
রফতানিকারকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রফতানি শিপমেন্ট হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে রফতানি আয় দেশে নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতা অনেক আগে থেকেই আছে। তবে এসব আয়ের একটা অংশ সময়মতো দেশে আসে না। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রফতানি আয় যে দিনই এক্সপোর্টাররা নগদায়ন করবেন, তারা ওই দিনের ডলারের রেট পাবেন। ফলে আগে তারা ডলারের দর নিয়ে যে দ্বিধায় পড়তেন, সেটি দূর হলো।
এর আগে, গত বছরের মার্চ মাসে এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, রফতানি চালান হওয়ার ১২০তম দিনে ডলারের যে দর থাকবে, আয় পরে আসলেও রফতানিকারক সে দরই পাবে। ডলারের বিনিময় দর বেড়ে গেলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে ডলারের দর কমে গেলে যেদিন আয় আসবে, সেদিনের দরই পাবেন রফতানিকারক।
তখন অনেক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল যে, ডলারের দর বেশি পেতে রফতানিকারকরা আয় দেরীতে দেশে আনছে। সে প্রেক্ষিতেই রফতানি আয় প্রত্যাবাসনের সময়সীমা নিয়ে কিছুটা কঠোর অবস্থানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কয়েকদিন আগে এক্সচেঞ্জ রেটের 'ক্রলিং পেগ' বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া নির্দেশনার কারণে ডলারের দাম কম পাচ্ছিলেন রফতানিকারকরা। সেটি কাটাতেই নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা।
সে হিসাবে, রফতানি আয় এখন নগদায়ন করলে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৭-১১৮ টাকা দর পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। ●
অকা/বা/সৈই/সকাল/২১ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 2 years আগে

