অর্থকাগজ ডেস্ক

কাতারে যারা টিকিট কেটে বিশ্বকাপ ম্যাচ দেখবেন তাদের গতবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। ফাইনালের টিকিটের দাম পৌঁছেছে ৮১২ ডলারে (প্রায় ৮৩,৪৫৩ টাকা)। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

কেলার স্পোর্টসের সমীক্ষা বলছে, গতবার রাশিয়ায় সমর্থকরা সিটপ্রতি গড়ে ২৫৪ ডলার করে খরচ করেছেন। সেখানে কাতারে সিটপ্রতি লাগছে ৩৪০ ডলার করে, যা আগের আসরের চেয়ে ৩৩.৬ শতাংশ বেশি!

মিউনিখভিত্তিক স্পোর্টস আউটফিটার সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখেছে, বিশ্বকাপে গত ২০ বছরের মধ্যে এবারের টিকিট সবচেয়ে ব্যয়বহুল। ফাইনালের টিকিটের দাম রাশিয়ার ফাইনালের চেয়ে ৫৯ শতাংশ বেশি।

গত ২০ বছরে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কাপেই টিকিটের জন্য সবচেয়ে কম ব্যয় হয় সমর্থকদের। ২০০৬ সালের সেই আসরে টিকিটপ্রতি গড় ব্যয় ছিল ১১৯ ডলার। আর বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালের টিকিটের গড় দাম ছিল ২৬৩ ডলার।

সমীক্ষায় বলা হয়, কাতার বিশ্ব কাপ সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ আসর বলা হচ্ছে। ছয়টি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ ছাড়াও তিনটি স্টেডিয়ামকে সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করায় এ খাতে খরচ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। এছাড়া রাজধানী দোহায় নানা ধরনের অবকাঠামো তৈরি ও বৃদ্ধিতেও বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যান চলাচলের নতুন রুট ও আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম সংস্কার। কাজেই কাতার বিশ্বকাপের টিকিট অন্য যেকোনো বিশ্বকাপের চেয়ে ব্যয়বহুল হওয়ায় এখানে বিস্ময়ের কিছু নেই। ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামীকাল, ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এ আসরের। ফিফা গত মাসে জানায়, কাতারের আটটি স্টেডিয়ামের জন্য ৩০ লাখের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। তখন মাত্র ৭ শতাংশ টিকিট বিক্রি বাকি ছিল। তবে টুর্নামেন্ট শুরু হলে আরো কিছু টিকিট পাওয়া যাবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ফিফার টুর্নামেন্ট পরিচালক কলিন স্মিথ। কারণ ফিফার স্পন্সর ও ফিফার ফেডারেশন সদস্যরা তাদের কোটা পূরণের পর টিকিট ফেরত দেবে।

এবার টিকিট ক্রেতাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও ইংল্যান্ডের নাগরিকরা এগিয়ে রয়েছেন। আর হসপিটালিটি টিকিট কেনায় কাতারের পরই রয়েছে মেক্সিকো।

ফিফার অনুমতি ব্যতিরেকে বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি অদলবদলও শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এজন্য সর্বোচ্চ আড়াই লাখ রিয়াল জরিমানা করা হবে।

একজন সমর্থক এক ম্যাচের সর্বোচ্চ ছয়টি টিকিট কিনতে পারবেন এবং টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৬০টি।বেশি টিকিট কিনে যাতে বর্ধিত দামে কালোবাজারে বিক্রি না করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতেই এ আইন 

হয়েছে।  

উল্লেখ্য, এটা কাতার ও মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন। ২৯ দিনের এ টুর্নামেন্টে ১২ লাখ বিদেশীর সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ছোট্ট এ দেশটি অতিথিদের আতিথেয়তা দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে এবং বিদেশীদের থাকার বন্দোবস্ত করতে বাড়তি হোটেল রুম ও ঘরের ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে।

অবশ্য অভিযোগ রয়েছে, কাতারি বাড়ি ও ফ্ল্যাট মালিকরা বেশি মুনাফার আশায় ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে বিশ্বকাপের পর্যটকদের কাছে ঘর ভাড়া দিচ্ছেন।

#

অকা/বিঅ/ বিকেল, ১৯ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ

সর্বশেষ হালনাগাদ 3 years আগে

Leave A Reply

Exit mobile version