Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    রবিবার, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    অনলাইনে শিক্ষার হাল

    জুন ২৯, ২০২২ ৩:৪২ পূর্বাহ্ণUpdated:জুন ২৯, ২০২২ ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ0
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link


    প্রণব মজুমদার ●
    সাদমী হাসান। বয়স ১২। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। রাজধানীর খিলগাঁওে মা বাবার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকে। মা বাবা দু’জনেই চাকরি করেন। শিক্ষিত অভিভাবকের ইচ্ছে ছেলেকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করাবেন। তাই শাহজাহানপুর একটি কোচিং সেন্টারে নিয়ে গেছেন সাদমীর আম্মা। সেন্টারের প্রধান শিক্ষক ওজন মাপলেন সাদমীর। ওর ওজন অস্বাভাবিক! তারপর দেয়ালে টানানো দেশের ক্যাডেট কলেজগুলোর ছবি সম্বলিত পঞ্জিকার তথ্যগুলো পড়তে বললেন শিক্ষক। কাঁপা কাঁপা গলায় সাদমী! তোতলাতে শুরু করলো সে। ৩ ফিট দূরে দাঁড়ানো সাদা ফঁকফঁকে আলোয় কিছুতেই পড়তে পারছে না সাদমী। স্যার বললেন, বুঝেছি, চোখের সমস্যা! চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ওকে! চোখের চিকিৎসা করে নিয়ে আসেন। ওতো কিছুই দেখে না। শিক্ষক তারপর সাদমীকে প্রশ্ন করলেন, ‘মোবাইল টিপো, না?’ সাদমী নিচু করা মাথা নাড়ায়। শিক্ষক সাদমীর মাকে ফার্স্টফুড না খাওয়ানোরও পরামর্শ দিলেন।
    শিশু শ্রেণিতে ইংরেজী মাধ্যমে পড়ে রাইসা ইসলাম। বয়স ৭। ব্যাংক কর্মকর্তা নওশীন রহমানের কন্যা স্মার্টফোন সুবিধার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসেও থাকছে, আবার একই স্ক্রিনে নিচে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটিং করে আড্ডায় মেতে আছে। অথচ শিক্ষক বুঝতেই পারছেন না তাঁর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মন নেই! ব্যাপারটা আমাকে খুব ভাবিয়ে তোলে। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম, আমরা অভিভাবকেরাই জেনে–শুনে বিষ পান করাচ্ছি না তো কোমল এই শিশুদের? এ যেন কবিগুরুর গানের কথার বাস্তবতা যেন! ‘জেনে শুনে বিষ করেছি পান, প্রাণের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ।’ যে শিশুদের নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মেতে থাকার কথা, তাদের হাতে এখন আমরাই তুলে দিয়েছি অ্যানড্রয়েট সেলফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের মতো ডিভাইস। এটা সময়েরও দাবি। কিন্তু সেই ডিভাইস শুধু ক্লাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পড়া সংগ্রহ করা, হোমওয়ার্ক সাবমিট, গ্রুপ স্টাডি এসবের অজুহাতে সারাক্ষণই যেন ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের সঙ্গে এরা নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। তারা যেন এক নতুন ভার্চুয়াল জগতে ভেসে বেড়াচ্ছেবিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যেসব দুরন্ত ছেলেমেয়ে তার সহপাঠীদের সঙ্গে মিলেমিশে লেখাপড়া ও মাঠে খেলাধুলা করত, তারা এরপর থেকেই ঘরবন্দী। দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। দিনের পর দিন তাদের সহপাঠী ও শিক্ষকদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং পড়াশোনায় অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়। ভার্চুয়াল এই ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জুম অ্যাপস, গুগল ক্লাসরুম, গুগল মিট, ওয়েবএক্স, ফেসবুক লাইভ, ইউটিউবের মতো বিভিন্ন সাইট ব্যবহার করে তাদের শিক্ষকদের সঙ্গে ক্লাস শুরু করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ক’জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের সুফল পেয়েছে? কী বা তারা শিখছে? এতে তারা কতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করছে? আর দীর্ঘ সময় অনলাইন ক্লাস তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলছে না?
    অনলাইনে পাঠদান এখন একটি বাস্তবতা। অতিমারির বন্দিদশায় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের পর এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও ডিভাইস সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি অনলাইনে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দেশের শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের।
    অনলাইন শিক্ষার মূল শর্ত হলো সকল শিক্ষার্থীর জন্য ইন্টারনেট এবং অনলাইনে পাঠ্যক্রমের ডকুমেন্ট নিশ্চিত করা। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্সের ডকুমেন্ট প্রাণবন্ত করা উচিত। এ সিস্টেমে ছাত্রদের টিমওয়ার্ক গঠন করে ব্রেইন স্টর্মিং কঠিন। তারপরও আমাদের সংকটময় পরিস্থিতিতে তা মানিয়ে নিতে হবে এবং অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া উচিত। কর্তৃপক্ষ যদি অনলাইন পাঠদানের বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দেয়, তবে অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী ল্যাপটপ, ইন্টারনেটের অভাবে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এ ছাড়া গ্রাম ও পার্বত্যাঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধার অভাব রয়েছে, যা অনলাইন শিক্ষার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া দুর্বল নেটওয়ার্ক এ ক্ষেত্রে বড় বাধাও বটে। সরকারের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ফাইভ জি সংযোগ যুক্ত করার কথা ভাবছে। অথচ দেশের সকল এলাকার গ্রাহক এখনও ফোর জি নেটওয়ার্কের আওতায় আসেনি।
    অনলাইন শিক্ষা- শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য নতুন একটি প্লাটফর্র্ম। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক সরাসরি সহজেই ক্লাস নিয়ন্ত্রণ এবং একই সঙ্গে সব শিক্ষার্থীর কাজ মূল্যায়ন করতে পারেন। ক্লাসে শিক্ষক কম মনোযোগী শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করতে পারেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে পারেন। কিন্তু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরাসরি কথোপকথনের অভাবে অনলাইন ক্লাসকে সফল করা কঠিন বলে মনে হয়।
    দেশে বিদ্যুৎ বিঘিœত সরবরাহ অনলাইন শিক্ষার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতি। এখনো কিছু মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে রয়েছে। অস্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং দুর্বল বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনলাইন শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করে। যেমন শহরে সবাই বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন, কিন্তু এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার্থীরা থাকে, যেখানে বিদ্যুৎ নেই। সুতরাং এটি দেশের জন্য সাধারণ একটি চ্যালেঞ্জ।
    সিদ্ধেশ^রী এলাকার বসবাসকারী অভিভাবক পরেশ সাহা (৫১) প্রাইভেট একটি ফার্মে চাকরি করেন। সীমিত আয়ের এ ভদ্রলোকের ৩ সন্তান। বড়টি মেয়ে, বাকিরা ছেলে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া তার ছোট ছেলেটিকেও ঘরবন্দি অবস্থায় অনলাইনে ক্লাশ করতে দিয়েছিলেন। কোচিং কøাসে যা মাসিক বেতন, অনলাইনও ২ হাজার টাকা। তিনি জানান, করোনা থেকে তার গোটা পরিবার মুক্ত থাকলেও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার তেমন উন্নতি হয়নি। বরং অর্থ অপচয় যেমন হয়েছে তেমনি ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে গেছে। ছেলেমেয়েরা অনেক রাত করে ঘুমাতে যায়। ছোট ছেলেটি অধিকাংশ সময় ভিডিও গেম খেলে গ্রুপে বন্ধুদের সঙ্গে। ইউটিউবার সে। পরিবারের কেউ সেলফোনের পর্দা থেকে তাকে সরাতে পারছে না।
    অনলাইন বা ভার্চুয়াল ক্লাসের সুবিধা সবাই গ্রহণ করতে পারেনি। বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারছে না। কারণ, অনেকেরই অনলাইন ক্লাস করার জন্য স্মার্টফোন, কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নেই। গ্রাম, চর, হাওর অথবা দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল শিক্ষা সম্পর্কে কোনো ধারণা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। রাজধানী ছাড়া দেশের অন্যান্য জেলা থ্রিজি/ ফোরজি নেটওয়ার্ক বা ব্রডব্যান্ড সুবিধা সহজে দেখা মেলে না। ফলে টুজি দুর্বল নেটওয়ার্ক দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস করার সুবিধা সবাই পায় না।
    সিদ্ধেশ^রী বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষক মেহেদী ইকবাল বলেন অনলাইন বা ভার্চুয়াল ক্লাসের সুবিধা সবাই গ্রহণ করতে পারেনি। বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারছে না। কারণ, অনেকেরই অনলাইন ক্লাস করার জন্য স্মার্টফোন, কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নেই। গ্রাম, চর, হাওর অথবা দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল শিক্ষা সম্পর্কে কোনো ধারণা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। রাজধানী ছাড়া দেশের অন্যান্য জেলা থ্রিজি/ ফোরজি নেটওয়ার্ক বা ব্রডব্যান্ড সুবিধা সহজে দেখা মেলে না। ফলে টুজি দুর্বল নেটওয়ার্ক দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস করার সুবিধা সবাই পায় না।
    রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুলের শিক্ষিকা ইভি রহমান বলেন, প্রথমেই আমি অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানাই। কথায় আছে, নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। একেবারে কিছু না শেখার চেয়ে যে ক’জন শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারছে, তাই এখন আমাদের ভালো দিক হিসেবে ধরে নিতে হবে। অনেক শিক্ষক এখন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নানান প্রযুক্তি অবলম্বন করে ক্লাস নিচ্ছেন। যা শিক্ষার্থীদের বোধগম্য হচ্ছে ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে। অনলাইন ক্লাসের ফলে ছাত্রছাত্রীদের গৃহবন্দী একঘেয়ে জীবনে বৈচিত্র্য আসছে। ছাত্র ছাত্রীদের বইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ থাকছে যা তাদের জীবনে খুব প্রয়োজন। অনলাইন ক্লাস করার জন্য ছাত্রছাত্রীরা ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠছে এবং নিয়মানুবর্তিতায় দিন কাটাচ্ছে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
    ২০২২ সালের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার পরিসংখ্যান অনুযায়ি দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এই তিন পর্যায়ে ২৩ হাজার ৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৯ লাখ ১৩ হাজার ৯৪৮ জন। যার বেশির ভাগই গ্রামের শিক্ষার্থী। বর্তমান বাস্তবতায় এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত করা একটি বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। অনেকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত। নামেমাত্র মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দ্রুতগতির সংযোগ, ঘরে ঘরে বিরতিহীন বিদ্যুৎ এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণই পারে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ডিজিটাল বাংলাদেশের সত্যিকার বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে। আর তা হলে অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি গণমুখি হবে। অনলাইন ক্লাস শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বান্ধব হবে।
    কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে কিছু মজার মজার বিষয় জানতে পেরেছি। টানা ৫/৬ ঘণ্টা ক্লাস করার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একঘেয়ে মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সব সুবিধা থাকার পরেও তারা ক্লাস করতে অনীহা প্রকাশ করছে। তারা প্রায় সময়ই সুযোগ পেলেই দুয়েকটা ক্লাস মিস দিয়ে দিচ্ছে। ক্লাসের ফাঁকে শ্রেণিকক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ছোটবেলা আমরা যেমন অস্থির হতাম, ঠিক তেমনি শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকের অগোচরে বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে চ্যাটিং করে। ফলে তাদের শিক্ষকদের লেকচার পুরোপুরি বোধগম্য হয় না। কেউ কেউ স্পিøট স্ক্রিন সুবিধা গ্রহণ করে একই সঙ্গে ক্লাসে থাকছে এবং এর পাশাপাশি অন্য অ্যাপস ব্যবহার করে বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাস চলাকালে যোগাযোগ রাখছে, কিন্তু তা তাদের শিক্ষকেরা বুঝতেই পারছেন না। অনেকেই বাড়ির কাজ বা শ্রেণি পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে উত্তর দিয়ে দেয়। সম্পূর্ণ প্রশ্ন না পড়ে একেক বন্ধু একেকটার উত্তর পড়ে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে উত্তর পাঠিয়ে দেয়। মানে, তারা সবাই ১০০ তে ১০০ নম্বর পায়।
    অনলাইনে ক্লাস করতে শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে অনেক শিক্ষক ক্যামেরা–ভীতিতে ভুগছেন। তাঁরা সুন্দর, সাবলীল, বোধগম্য ও আকর্ষণীয় লেকচার দিতে পারছেন না। অনলাইনে অংক বিষয় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বুঝে না। ফলে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েছে। অনলাইনে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা তাদের সব পড়া সঠিকভাবে বুঝতে পারছে না, আর না বুঝলে শিক্ষকদের কাছে আবার প্রশ্ন করে বুঝে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই অনলাইনে অনেক বিষয়ে পড়াশোনায় ঘাটতি রয়েই যাচ্ছে। ●
    অকা/তপ্র/সকাল, ২৯ জুন, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ

    লেখক অর্থনীতি বিশ্লেষক, সাহিত্যিক ও অর্থকাগজ সম্পাদক

    reporterpranab@gmail.com

    সর্বশেষ হালনাগাদ 3 years আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    পাবজি মোবাইলের সঙ্গে রবির চুক্তি

    পাহাড়ের ১০০ স্কুলে স্টারলিংক সেবা চালু হবে

    ঘরে বসেই হবে সমাধান
    করদাতাদের জন্য নতুন সফটওয়্যার

    স্টারলিংক লাইসেন্স সুবিধা
    দুর্গম অঞ্চলে সেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ

    গ্রামীণফোন ও রবি চালু করলো ফাইভ-জি

    এআই-চালিত রূপান্তরে আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    জামানতহীন ঋণ বন্ধে আইএমএফের চাপ

    শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা

    খেলাপি ঋণ সংকটে আংশিক অবলোপন নীতি

    চার মাসের ধারাবাহিক পতনে উদ্বেগ বাড়ছে
    রফতানি আয় টানা চাপে

    প্রভিশন ঘাটতিতে ব্যাংক খাতের চাপ আরও তীব্র

    একীভূত পাঁচ ব্যাংকের ডিলিস্টিং প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায়

    বেসরকারি খাতে ঋণে চার বছরের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

    দাম কমলেও ভোক্তারা সুবিধা পাচ্ছেন না
    পাম অয়েলে বিশ্ববাজারে বড় পতন

    মিউচুয়াল ফান্ড খাতে গভীর অচলাবস্থা ও আস্থাহীনতার সংকট

    মুদ্রাস্ফীতি কমলেও ঋণ প্রবাহে স্থবিরতা

    এনবিএফআই অবসায়নে শেয়ার বাজারে নতুন আতঙ্ক

    বিআইপিডি এর উদ্যোগে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন

    ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের লিটারে ২ টাকা দাম বৃদ্ধি

    বৈদেশিক ঋণ – চার মাসে যত অর্থ ছাড়, প্রায় ততটাই পরিশোধ

    ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ -এর চূড়ান্ত অনুমোদন

    পেঁয়াজের বাজারে স্থায়ী অস্থিরতা

    ওষুধ শিল্পে মূল্য স্থবিরতা ও ব্যয় চাপের দ্বিমুখী সংকট

    ব্যাংকিংয়ে ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্যেও ৭৫% গ্রাহক এখনো অন্ধকারে

    চাহিদার ৪০% ঘাটতি
    গ্যাস-সংকটের চরম দুঃসময়

    পদ্মা ব্যাংকের ‘অর্থ পাচার’
    নাফিস সরাফাতসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৬১৩ কোটি টাকার মামলা

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.