অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ট্যাক্স রিপ্রেজেনটেটিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (টিআরএমএস) সফটওয়্যার চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই প্ল্যাটফর্ম কর ব্যবস্থাপনায় অধিকতর দক্ষতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই করসংক্রান্ত সবকিছু সমাধান করা যাবে।
১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এটি উদ্বোধন করেন। একটি আধুনিক, স্বচ্ছ এবং করদাতাবান্ধব রাজস্ব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে টিআরএমএস একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মনে করছে এনবিআর। অনুমোদিত ব্যক্তিদের টিআরএমএস সফটওয়্যারে নিবন্ধন করতে হবে, যাতে তারা করদাতাদের পক্ষে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে পারেন। করদাতারা তাদের মোবাইল ফোনে বায়োমেট্রিক সিস্টেমে নিবন্ধিত ওটিপি শেয়ার করে যেকোনো এনবিআর-স্বীকৃত ট্যাক্স আইনজীবী বা আইটিপিকে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার জন্য অনুমোদন দিতে পারবেন।
ট্যাক্স রিপ্রেজেনটেটিভ বা ট্যাক্স আইনজীবীরা সিস্টেম থেকে ট্যাক্স রিটার্ন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। তাদের ডিজিটালি নিবন্ধিত হতে হবে এবং করদাতাদের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। সরকারের রাজস্ব কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রতিটি ট্যাক্স রিপ্রেজেনটেটিভ টিআরএমএসে প্রতিটি ট্যাক্স রিটার্ন আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা যাবে।
অনুষ্ঠানে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলাম সুফল কি আমরা দেখে যেতে পারব? কারণ আমাদের ফেব্রুয়ারি মাসের পর চলে যেতে হবে, এর আগে কিছুটা দেখে যাব কি না। প্রধান উপদেষ্টা প্রায়ই আমাকে বলেন, কিছু কিছু কন্ট্রিবিউট করে যাই আমরা। তিনি বলেন, কন্ট্রিবিউট মানে এমন কিছু যা দেখা যায়। কারণ অনেকেই চোখে কিছু দেখে না। বলে যে কিছুই হচ্ছে না। আজো দেখলাম কোনো একটা পত্রিকায়, নাম বলব না, সবখানে লিখেছে হতাশা, উনি আশার কথা কিছুই দেখছেন না। অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই। কারণ পরে যে সরকার আসবে সময় লাগবে, বুঝতে সময় লাগবে। আর সদিচ্ছার ব্যাপার আছে। এগুলোর মধ্যে যদি কিছুটা বাংলাদেশে আশার আলো দেখাতে পারি।
টিআরএমএস পুরো প্রক্রিয়া দেশে হওয়ায় সবাইকে সাধুবাদ জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসব কাজে বিদেশী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করার অভ্যাসটা বেশি হয়ে গেছে। বাইরে থেকে যারা আসে তারা আবার তাদের দেশের সরঞ্জাম বিক্রির চেষ্টা করে। এ ধরনের কার্যক্রম সবার জন্য মঙ্গলজনক জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে বা কোম্পানি পর্যায়ে ছাড়াও যারা কর সংগ্রহ করবে তাদের জন্য সুবিধা। সংগ্রহ করতে গেলে কত রকমের কাগজপত্রে লিখতে হয়। পরে কিন্তু অনেক থ্যাংকসলেস হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান মো: আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী বছর থেকে করপোরেট কর দাখিল পুরোপুরি অনলাইনে বাধ্যতামূলক করা হবে। চলতি বছরই তৈরি করা হবে কর অ্যাপ। কর আদায়ের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করা গেলে অডিট সিলেকশন ও অডিট প্রক্রিয়া অটোমেটেড করা সম্ভব হবে। ●
অকা/আখা/ফর/বিকাল/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 2 days আগে