অর্থকাগজ ডেস্ক ●
ইউরো ও ইয়েনসহ বিশ্বের ছয়টি প্রধান মুদ্রার সাপেে ডলার ইনডেক্স প্রণয়ন করা হয়। ২২ আগস্ট সেই ডলার শেষে ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৯৭ দশমিক ৫৮-এ। পাওয়েলের বক্তব্যের আগে সূচকটির মান ছিল প্রায় ৯৮ দশমিক ৭০।
ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্যে ২২ আগস্ট বিশ্ব বাজারে ডলারের দাম কমেছে। সেপ্টেম্বরে নীতি সুদহার কমতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দিলেও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেননি। তারপরও ডলারের দামে প্রভাব পড়েছে।
ডলারের বিপরীতে ইউরোর মান বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। ফলে প্রতি ইউরোর বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১ দশমিক ১৭৩৯ ডলার। জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মান হয়েছে ১৪৬ দশমিক ৬২।
মার্কিন শ্রম বাজার সম্পর্কে পাওয়েল বলেন, এখন ভারসাম্যটা অদ্ভুত ধরনেরকর্মী চাহিদা আর সরবরাহ দুটোই কমে গেছে। এতে কর্মসংস্থানের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। তার সতর্ক বার্তা, এই ঝুঁকি বাস্তব হলে তা খুব দ্রুত সামনে আসতে পারে। ফেডের বার্ষিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
টরন্টোভিত্তিক প্রতিষ্ঠান করপের প্রধান বাজার কৌশলবিদ কার্ল শামোটা বলেন, বাজার যা আশা করেছিল, পাওয়েলের বার্তা ততটা পূরণ করতে পারেনি। তবে ডলারের দাম পড়ছে, সেপ্টেম্বরে সুদ কমার সম্ভাবনা বাড়ছে আর বাজার আরও শিথিল মুদ্রানীতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিএমই গ্রুপের ফেডওয়াচ টুলের তথ্য বলছে, ১৬-১৭ সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির বৈঠকে সুদহার কমার সম্ভাবনা সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের ধারণা, এই সম্ভাবনা এখন ৯১ শতাংশ। ২২ আগস্ট সকালেই তা ছিল ৭২ শতাংশ। বছরের শেষ নাগাদ মোট ৫৬ ভিত্তি পয়েন্ট সুদ কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, আগে যা ছিল ৪৮ ভিত্তি পয়েন্ট।
জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে কম কর্মসংস্থান হয়েছে। এর পর থেকেই ব্যবসায়ীরা ধারণা করছিলেন, সেপ্টেম্বরে নীতি সুদহার কমার সম্ভাবনা বাড়ছে। শুল্কজনিত মূল্যবৃদ্ধি সীমিত থাকায় সেই ধারণা আরও জোর পায়। তবে উৎপাদক মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হওয়া এবং আগস্টে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে গতি আসায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে সতর্কতা ছিল। অর্থাৎ সুদহার নাও কমতে পারে। এখন শ্রম বাজারের তথ্যই ফেডের নীতিনির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ●
অকা/বিবা/ফর/বিকাল/২৩ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 4 weeks আগে