অর্থকাগজ প্রতিবেদন
শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি পণ্য যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেজন্য টিসিবি কাজ করছে।’ ৬ মে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে কূটনীতিকরা থাকেন। আমাদের দেশের সম্মান কিন্তু নির্ভর করে এই ডিপ্লোমেটদের কীভাবে রাখছি তার ওপর। বড় বড় দূতাবাস এখানে। পুলিশ বক্সের পয়েন্টের পাশে রিকশা ঘোরানোর জন্য ডিপ্লোমেটদের ১০-১৫ মিনিট যানজটে থাকতে হয়। চাইলে এই চলাচলটা খুব সহজ করে দেয়া যায়। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এটা দেখতে বলব।’
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে এটাই ছিল টিসিবির উদ্দেশ্য। আমি নিজেও ছোটবেলায় রেশন কার্ড নিয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকানে যেতাম, বিভিন্ন জিনিস আমরা সেখান থেকে এনেছি। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে নিজস্ব উৎপাদিত অনেক পণ্য ছিল না। টিসিবির মাধ্যমে এটা আসত।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। বিশেষ করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকে টিসিবিকে একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই টিসিবিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি জিনিস যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি সেজন্য টিসিবি কাজ করে যাচ্ছে।


তিনি বলেন, ‘সবাই যখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন ডলার সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১৩ লাখ টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন ভোটের পরেই রমজান আসছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমার চিন্তা করার দরকার নেই। যথেষ্ট খাদ্যপণ্য আছে। কিন্তু এটার ব্যবস্থাপনা যেন সুষ্ঠু হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলব আপনারা তালিকা সংশোধন করে যারা পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে রাখবেন।’ আগামীতে টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে আরও নতুন পণ্য যুক্ত করা হবে। ডিলারের সংখ্যা বাড়িয়ে পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত টিসিবির দোকান প্রতিষ্ঠা করা হবে। টিসিবি কার্ডধারীরা এই কার্যক্রমের আওতায় সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারছেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অকা/টিসিবি/ফর/দুপুর, ০৭-০৫-২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে

Leave A Reply

Exit mobile version