Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    পুঁজি বাজারে সৎ-দক্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজন

    অক্টোবর ৪, ২০২৫ ১০:০৫ অপরাহ্ণ5
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
    পুঁজি বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেতৃত্বের দুর্বলতা ও নানান অনিয়মের কারণে পুঁজি বাজারের ওপর থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পতিত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এখনো দেশের শেয়ার বাজারে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব প্রয়োজন। ৪ অক্টোবর আয়োজিত ‘পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন।

    বৈঠকে পুঁজি বাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতোই আচরণ করেন। আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুঁজি বাজারকে দীর্ঘদিন ধরে নেগলেক্ট (অবহেলা) করা হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয়ভাবে পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ করে, কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা (আমলা) নিজেদের অবস্থান ছাড়তে চায় না, যে কারণে পুঁজি বাজারে নেগলেকশন চলছে এবং তারা এখান থেকে ব্যক্তিগত সুবিধা পাচ্ছে।

    তিনি বলেন, পুঁজি বাজারে টেকসই ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা একান্ত প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীলতার মূল কারণ হলো গভর্ন্যান্স ফেইলিউর। এজন্য অডিটর, ভ্যালুয়েশন ফার্ম ও স্বাধীন পরিচালকদের জবাবদিহি বাড়ানোর পাশাপাশি ‘ফিট অ্যান্ড প্রপার’ তালিকা তৈরি করে যোগ্য ও অভিজ্ঞ পরিচালকদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এসব পদপে ছাড়া পুঁজি বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো এবং বাজারের স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

    তিনি আরও বলেন, পুঁজি বাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা বা ‘ক্যানসার’ হলো নেগেটিভ ইকুইটি। এর পেছনে মার্জিন ঋণের অপব্যবহার একটি প্রধান কারণ। বড় বিনিয়োগকারীদের অনেক সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে মার্জিন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুরার জন্য আমরা মার্জিন ঋণে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছি।

    আইপিও সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ল্য করেছি- অনেক নামসর্বস্ব ও অযোগ্য কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে, যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার যোগ্যতাও রাখে না। তারা কৃত্রিমভাবে আর্থিক বিবরণী সাজিয়ে বাজারে আসে এবং জনগণের অর্থ নিয়ে চলে যায়। এজন্য আমরা অডিটর, ভ্যালুয়েশন ফার্ম ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টরদের জবাবদিহি বাড়ানোর সুপারিশ দিয়েছি। বাংলাদেশের পুঁজি বাজারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো গভর্ন্যান্স ফেইলিউর। তাই আমরা রিওয়ার্ড ও পানিশমেন্ট- উভয় দিক বিবেচনায় নিয়ে একটি শক্তিশালী গভর্ন্যান্স কাঠামো প্রস্তাব করেছি।

    পুঁজি বাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত, মানসম্মত অডিট রিপোর্ট ও তথ্যপ্রবাহে স্বচ্ছতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক মো. শাকিল রিজভী। আগে বিনিয়োগকারীরা এজিএমে গিয়ে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন, আলোচনায় অংশ নিতেন। এখন এজিএম হয়ে গেছে নিয়ন্ত্রিত- ভাড়াটে লোক এনে এজেন্ডা পাস করানো হয়। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারী বাস্তব তথ্য থেকে বঞ্চিত হন। তাই নিরপেক্ষ কোনো স্থানে ফেয়ার ও এজেন্ডাভিত্তিক এজিএম আয়োজন করার ব্যবস্থা করা উচিত। অনেক কোম্পানির ওয়েবসাইটই ঠিকমতো আপডেট করা হয় না। বিনিয়োগকারীরা সঠিক তথ্য পান না। অথচ স্টক এক্সচেঞ্জ শুধু কোম্পানির সরবরাহ করা তথ্যই প্রকাশ করে। তাই কোম্পানিগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

    মানসম্মত অডিট রিপোর্টের ওপর জোর দিয়ে ডিএসইর’র এই পরিচালক বলেন, যদি অডিট রিপোর্টে বিনিয়োগকারীর বিশ্বাস না থাকে, তাহলে বাজারে আস্থাও ফিরবে না। আমরা শুধু কাগজে-কলমে শেয়ারদর বাড়াতে চাই না, বরং কোম্পানির বিক্রি, উৎপাদন ও মুনাফা বাড়াতে হবে। লিজিং কোম্পানি ও কিছু ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু বিনিয়োগকারী তিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু কেউ দায় নিচ্ছে না। এটা বাজারের জন্য নেতিবাচক বার্তা।

    বিনিয়োগের ঝুঁকি সবসময় থাকে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ বা কমিশন কারও মুনাফার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তবে তথ্য ও অডিট রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চয়তা দিতে হবে।

    শাকিল রিজভী বলেন, কারেন্সি ডিভ্যালুয়েশনের আশঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মাঝে মাঝে শেয়ার বিক্রি করে চলে যান। কিন্তু রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স বাড়লে তারা ফিরে আসেন। তাই স্থিতিশীল মুদ্রানীতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

    ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, আমাদের এখানে কমপে ৫০০ কোম্পানি রয়েছে যারা লিস্টেড হওয়ার উপযোগী। কিন্তু নানা হয়রানি শঙ্কায় তারা পুঁজি বাজারে আসতে চায় না। তবে দেশের শেয়ার বাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা নিহিত সঠিক নেতৃত্ব, সঠিক স্থিতিপত্র ও কমিশন কাঠামোতে, সেখানে সৎ, যোগ্য রেলিভেন্ট ব্যক্তিদের দিতে হবে। আর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনীতি। যদি দ ও সৎ নেতৃত্ব নিশ্চত করা যায় তাহলে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার ১০ বছরে ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি দিতে পারে। পদে পদে ঘাটে ঘাটে আপনি যন্ত্রণা দিয়ে রেখেছেন, পদে পদে হয়রানি করার সব মেকানিজম করে রেখেছেন, পদে পদে বিনিয়োগকারীদের হয়রানি করার সব সিস্টেম করে রেখেছেন। আপনি দুষ্টের পালন আর শিষ্টের দমনের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। চ্যালেঞ্জগুলো যদি মোকাবিলা করতে না পারে এই শেয়ারবাজার কখনোই সামনে এগোবে না। এত অন্যায় নিয়ে শেয়ারবাজার কীভাবে চলবে?

    তিনি আরও বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চিন্তা করে লাভ নেই, আমাদের বদলাতে পারবেন না। চেঞ্জ করতে পারবেন কমিশন। কমিশন ঠিক থাকলে আমরা এমনিতেই ঠিক। আমাদের হাত-পা বাঁধা। নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নেতৃত্বেই পুঁজি বাজারের সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে চ্যালেঞ্জের পথ পেরিয়ে যেতে হবে।

    মিনহাজ মান্নান বলেন, অর্থনীতির মূল যে গতি সেটা থেকে আমাদের শেয়ার বাজার বিচ্ছিন্ন। খারাপ নিউজ যখন আসে মন খারাপ নিয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ভালো নিউজে বাজার বাড়ে না কেন? আমরা শেয়ারবাজারের সঙ্গে রিলেটেড না, আমরা রেলিভেন্ট না। পুঁজি বাজেরকে আমরা মূল স্রোত ধারার সঙ্গে কখনো রিলেটেড করতে পারিনি।

    তিনি বলেন, শেয়ার বাজারটা যদি অর্থনীতির মূল ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতাম, যদি মনে করতাম ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে এটা অর্থনীতির টাকা জোগানোর একটা মাধ্যম, তাহলে এটার গুরুত্ব আমরা বুঝতাম। তাহলে আমরা যে কমিশন তৈরি করেছি সেখানে রেলিভেন্ট লোক দিতাম। যারা কমিশনার থাকবেন তারা শিক থাকুক বা মুদি দোকানের মালিক হয়ে আসুক বা মসজিদের ইমাম হোক, কোনো বিষয় না, সেই লোকটি এটি (পুঁজি বাজার) অর্থনীতির চালিকাশক্তি তা বোঝেন কি না, শেয়ার বাজারে ইকোসিস্টেমটা তিনি বোঝেন কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

    আইপিওর মান নিশ্চিত না করে আইপিও দিলে এ বাজার কখনো ভালো হবে না মন্তব্য করে ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, আইপিও’র সিস্টেম ডেভেলপ না করে আইপিও দিলে কী লাভ! এখনকার সিস্টেমে বলা হয়েছে তিন বছর লাভ দেখিয়ে আসতে হবে। যে লোক তিন বছর লাভ করেন, তিনি কেন শেয়ার বাজারে আসবেন? তিনি তো লাভ করতেছেন, আমি লাভের টাকায় আপনাকে ভাগ দিয়ে দেবো, কি দরকারটা আমার?

    প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের সিইও মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর একসময় ছিল বাজারের অন্যতম শক্ত স্তম্ভ। ২০১০ সালের দিকে মার্কেট ক্যাপ অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান ছিল বড় একটি অংশ। কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে সেক্টরটি অনেক পিছিয়ে গেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে অনেক ব্যাংকের ব্যালেন্সশিটের (আর্থিক প্রতিবেদন) বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে। গত কয়েক বছরে দেখা গেছে, যেসব ব্যাংক এখন দেউলিয়াত্বের পথে, তারাও শত শত কোটি টাকার মুনাফা দেখিয়েছে। তাদের নন-পারফর্মিং লোনগুলো যথাযথভাবে প্রকাশ করা হয়নি। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে গেছে। এখন দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যাংক প্রতি কোয়ার্টারে হাজার কোটি টাকার তির রিপোর্ট দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বাস্তব চিত্র কিছুটা বুঝতে পারছেন, তাই ব্যাংকের শেয়ারদরও কমে গেছে। তবে সব ব্যাংকই খারাপ নয়- যেসব ব্যাংকের গভার্নেন্স ভালো, তাদের শেয়ারের দর কিছুটা বেড়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে প্রতিটি ব্যাংকের এনপিএল রেশিও, গভার্নেন্স রেকর্ড ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

    মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড অনেকদিন ধরেই বাজারের দুঃখের একটি জায়গা। ২০০৯-২০১০ সালে ১০ টাকার মিউচুয়াল ফান্ড একসময় ৫০-৬০ টাকায়ও ট্রেড হয়েছে, যা ছিল সম্পূর্ণ বাস্তবতাবিবর্জিত। পরে যখন দাম কমতে শুরু করে, তখন ফান্ডগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় আসে। কিন্তু তখনকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব ফান্ডের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়িয়ে দেয়। এতে ফান্ড ম্যানেজাররা প্রায় স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পেয়ে যায়। এটা ইউনিট হোল্ডারদের অ্যাসেট নয়, এটা অ্যাসেট ম্যানেজারদের অ্যাসেট, তারা সেভাবেই এটা ম্যানেজ করেছেন।

    মনিরুজ্জামন বলেন, দুই বছরে দেখা গেছে- অনেক অ্যাসেট ম্যানেজার ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কেউ কেউ সেই টাকা নন-লিস্টেড কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন, যেখান থেকে কোনো আয় বা রিটার্ন আসছে না, আবার সেগুলো লিকুইডেট করাও কঠিন। এ এক ভয়াবহ গভার্নেন্স ব্যর্থতা। এখানে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ানসহ সব স্টেক হোল্ডারেরই ব্যর্থতা আছে। ফলস্বরূপ, মিউচুয়াল ফান্ডের এনএভি (নেট এসেট ভ্যালু) ও বাজারমূল্যের মধ্যে বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা জানেন না, ফান্ডের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হবে কি না বা নন-লিস্টেড কোম্পানিতে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত আসবে কি না।

    চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মাহমুদ হোসেন বলেন, পুঁজি বাজারের সম্ভাবনার চেয়ে সমস্যাই বেশি এবং এই সমস্যাগুলোর মূলে রয়েছে নৈতিক অবয়, রাষ্ট্রীয় দুর্বলতা ও পরিকল্পিত লুটপাট। আমাদের দেশে বিনিয়োগকারীরা শুধু মুনাফা থেকেই বঞ্চিত হন না, বরং নিজেদের পুঁজিরও নিরাপত্তা পান না। যেখানে আইনের শাসন নেই, সেখানে বিনিয়োগ নিরাপদ থাকা অসম্ভব।

    পুঁজি বাজারে রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সংঘটিত পুঁজি লুট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে বছরের পর বছর যা ঘটেছে, তা কোনো দুর্ঘটনা নয়— এটি একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে সংঘটিত পুঁজি লুট।

    উদাহরণ টেনে মাহমুদ হোসেন বলেন, সুকুক বন্ডের মাধ্যমে বাজার থেকে বিনিয়োগযোগ্য অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে। স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডেও একই ধরনের অস্বচ্ছতা। কোথাও কোনো স্বচ্ছ রিপোর্ট নেই।

    তিনি বলেন, পুঁজি বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ এখনো একটি দীর্ঘসূত্র ও জটিল প্রক্রিয়া। অন্যদিকে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া অনেক সহজ- তাই নতুন কোম্পানিগুলো বাজারে আসতেই চায় না। কথা ও কাজে অমিল থাকলে আস্থা ফিরবে না। ক্রেতা, বিক্রেতা ও রেগুলেটর- তিন পরে মধ্যে যখন বিশ্বাসের অভাব থাকে, তখন বাজার কখনোই স্থিতিশীল হতে পারে না। পুঁজি বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কিন্তু কয়টি মামলা হয়েছে? কয়টি তদন্ত হয়েছে? এই লুটপাট ছিল পরিকল্পিত। কিন্তু রাজনৈতিক আপসে দুর্নীতিবাজরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও নৈতিকতা ছাড়া কোনো সংস্কারই টেকসই হতে পারে না। আমাদের চরিত্র বদলাতে হবে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে এবং যারা লুটপাটে অংশ নিয়েছে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই ফিরবে আস্থা, আর পুঁজি বাজার চলবে টেকসই পথে।

    বিনিয়োগকারী মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ১৪ মাসে পুঁজি বাজারে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর নতুন কমিশন ও নতুন নেতৃত্ব এলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরেনি। যারা ১৪ মাস আগে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, আজ তারা মাত্র ৫০ টাকায় নিজেদের অর্থ দেখতে পাচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারনের চিত্র অনেক দেরি করে প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টগুলো দ্রুত প্রকাশের ব্যবস্থা করা উচিত। ●

    অকা/আখা/ফর/রাত /৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    সর্বশেষ হালনাগাদ 1 week আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    চট্টগ্রাম বন্দর – বিদেশি অপারেটর ও ট্যারিফ পুনর্বিন্যাসের কৌশলগত পদক্ষেপ

    ভারতীয় সুতার দাপটে সংকটে দেশীয় টেক্সটাইল খাত

    এবার বিশ্ব বাজারে রুপার দামেও নতুন রেকর্ড

    দুর্বল লিজিং কোম্পানি বন্ধে সরকারের সাহসী পদক্ষেপে আর্থিক খাতে সংস্কারের নতুন বার্তা

    পাঁচ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৌদি ব্যবসায়ীদের

    অক্টোবরের প্রথম সাতদিনে প্রবাসী আয় ৮৪৪২ কোটি টাকা

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    চট্টগ্রাম বন্দর – বিদেশি অপারেটর ও ট্যারিফ পুনর্বিন্যাসের কৌশলগত পদক্ষেপ

    রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভে স্বস্তি

    একীভূত পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারধারীদের অনিশ্চয়তা

    একশ’ মে.ও. সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নেটওয়ার্ক পরিচালনায় ফ্লোসোলারের সঙ্গে বাংলালিংকের অংশীদারিত্ব

    ভারতীয় সুতার দাপটে সংকটে দেশীয় টেক্সটাইল খাত

    অর্থনীতির শ্লথ গতি – পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন জিডিপি প্রবৃদ্ধি

    এবার বিশ্ব বাজারে রুপার দামেও নতুন রেকর্ড

    বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে উদ্যোগ সরকারের

    চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি – বিদেশি প্রভাব না অর্থনৈতিক প্রয়োজন?

    দুর্বল লিজিং কোম্পানি বন্ধে সরকারের সাহসী পদক্ষেপে আর্থিক খাতে সংস্কারের নতুন বার্তা

    পাঁচ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৌদি ব্যবসায়ীদের

    অক্টোবরের প্রথম সাতদিনে প্রবাসী আয় ৮৪৪২ কোটি টাকা

    দরপতনের দিকে যাচ্ছে পুঁজি বাজার

    আমানতের মাইলফলক স্পর্শ করল ট্রাস্ট ব্যাংক

    দরপতনের পর বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি

    প্রবাসী যোদ্ধাদের সুরক্ষায় গার্ডিয়ান লাইফ ও কিনিকল

    বাজার থেকে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক

    মার খাচ্ছে জ্বালানি খাত
    সূচকের অস্থির আচরণ দুই পুঁজি বাজারে

    সরকার পরিবর্তনের পর উন্মোচিত ব্যাংক খাতের লুকানো ঋণ কেলেঙ্কারি

    সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.