অর্থকাগজ প্রতিবেদন
বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য ৬৫ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। ২৯ জুন ব্যাংকটির বোর্ড অফ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস এ ঋণ অনুমোদন করে।

এই বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা এবং বন্দরের কর্মমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি ও রফতানি ব্যয় কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত বিনিয়োগও গতিশীল হবে।

বিশ্ব ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বে-টার্মিনাল সামুদ্রিক এই অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্রোত ও চরম আবহাওয়ার থেকে বন্দরকে রায় ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। এতে বন্দর অববাহিকা, প্রবেশপথ ও চ্যানেলগুলোয় ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আধুনিক এই বে-টার্মিনাল শীর্ষ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোকে ঘুরানোও আগের থেকে অনেক সহজ হবে। এতে প্রতিদিন আনুমানিক ১০ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা বিশ্ব ব্যাংকের।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু বন্দরটিকে নানা সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়। বে-টার্মিনাল প্রকল্পটি একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বন্দরের সমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবহণ খরচ ও সময় কমিয়ে বাংলাদেশের রফতানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এ ছাড়া এটি মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।

বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের প্রধান হুয়া টান বলেন, বে-টার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে।

বে-টার্মিনাল বাংলাদেশের মোট কন্টেইনারের ৩৬ শতাংশ হ্যান্ডলিং করবে আশা করা হচ্ছে। 

অকা/আখা/ফর/সন্ধ্যা/২৯ জুন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে

Leave A Reply

Exit mobile version