অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
ঢাবির সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি (সিবিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেছেন, দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে গিয়ে যারা কোম্পানি খুলছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন জানতে চেয়েছেন ঢাকা। ‘দেশের অর্থ নিয়ে গিয়ে যারা বিদেশে কোম্পানি খুলছেন, তাদের পরিচয় জানাতে আমাদের অসুবিধা কোথায়? তারা যদি প্রোপার চ্যানেলে টাকা পাঠিয়ে না থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? এ আইনগুলো কারা তৈরি করেছেন। কেন তৈরি করেছেন।’ ‘প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরীর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এর আয়োজন হয়।
ঢাবির উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির যে স্বাস্থ্য, এখান থেকে বেশকিছু টাকা বিদেশে চলে গেছে। এটা যদি আমাদের দেশের জন্য ভালো হয়, তাহলে আরো টাকা যাক বিদেশে। আর যদি ভালো না হয়, তাহলে আমাদের জানতে কী অসুবিধা আছে, এরা কারা কারা কোম্পানি খুলেছেন। এদেরকে যদি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে প্রতি বছর বাজেটে আর নাই নাই শুনতে হবে না।’
পৃথিবীর টেক অব ইকোনমির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জাপান আশির দশকে বিনিয়োগ করল চীনে। চীন সেখান থেকে তাদের টেকনোলজি রপ্ত করে আজ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থনীতির দেশ। আর আমাদের টাকা চলে যাচ্ছে ধনী দেশে। এসব টাকা যদি প্রপার চ্যানেলে না গিয়ে থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যদি কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট থাকে, তাহলে ব্যবস্থা কেন নেয়া হয় না।’
অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে যদি কোনো রিটার্নই না থাকে, তাহলে প্রতি বছর কেন এটা দেয়া হচ্ছে। আমি আশা করব, কালো টাকার মালিকরা উৎসাহ পাবেন। তারা কালো টাকা সাদা করবেন। আর যদি তারা এবার এ সুযোগ যথাযথভাবে না নেন, তাহলে আগামী বছর তাদের চিহ্নিত করা হোক।’
সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘বাজেটের অর্থ কোথায় যাচ্ছে, সেটার বিষয়ে আলোচনা ও প্রশ্ন তোলা উচিত। বড় বিনিয়োগ পাতালে হচ্ছে। যার থেকে রিটার্ন আসবে না। বেশি প্রয়োজন ন্যায্যতা নিশ্চিত করা। দরিদ্ররা অবিচারের কারণে আরো দরিদ্র হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ। আলোচনায় অংশ নেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. এমএ রাজ্জাক। ●
অকা/শিবা/ফর/দুপুর/ ১২ জুন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে