বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তিতাস কার্যালয় পরিদর্শনে বলেন, অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে এবার বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরের প্রচেষ্টায় আমরা সিস্টেম লস ২২ ভাগ থেকে কমিয়ে ৮ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি, এই সিস্টেম লস শূন্যে নামিয়ে আনতে।’
তিনি বলেন, ‘তিতাসের এলাকায় অনেক ভূতুড়ে গ্রাহক পাওয়া গেছে। এখন তিতাসকে বলা হয়েছে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাইনগুলো পরীক্ষা করে দেখতে। এর মাধ্যমে আরও অবৈধ গ্রাহক পাওয়া যাবে।’ এখন সিএনজি স্টেশনগুলোর এনার্জি অডিট করা হবে। এই প্রক্রিয়াতে সিএনজি স্টেশনগুলো কী পরিমাণ গ্যাস বিক্রির অনুমোদন নিয়ে কী পরিমাণ বিক্রি করছে তা যাচাইবাছাই করা হবে। একইসঙ্গে সিএনজি স্টেশনের মিটারগুলো ক্যালিব্রেশন করার পাশাপাশি বিস্ফোরকের অনুমোদন রয়েছে কিনা তা দেখা হবে।’
নসরুল হামিদ জানান, গত দুই বছরের প্রচেষ্টায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৩৬টি শিল্প সংযোগ, ৪৭৫টি বাণিজ্যিক সংযোগ, ৯৭টি ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১৩টি সিএনজি স্টেশন রয়েছে। এর বাইরে বাকি সংযোগগুলো গৃহস্থালির। একই সময়ে ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পেট্রেবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ‘সিস্টেম লস কমাতে তিতাস প্রত্যেক বিতরণ এলাকায় নিজস্ব মিটার স্থাপন করেছে। যেখানে গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়াতে ৪০ ভাগ সিস্টেমলস ধরা পড়ে। সেখানে সব লাইন বন্ধ করে অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। খবর বিজ্ঞপ্তি
অকা/তিতাস/ফর/ দুপুর, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে