অর্থকাগজ প্রতিবেদন
অর্থপাচার বন্ধে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার সুযোগ দাবি করেছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস এ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ)। সেই সঙ্গে সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থা গতিশীল করতে নিবন্ধন খরচ মোট ৩ শতাংশ নির্ধারণ এবং আবাসন খাতে অর্থ সরবরাহ বাড়াতে বিশেষ তহবিল গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠন দুটি। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে এনবিআর আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন এবং বিএলডিএর পক্ষ থেকে সংগঠনের সচিব নওশেরুল আলম বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। রিহ্যাব সভাপতি বলেন, নিবন্ধন অধিদফতরের হিসাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা নিবন্ধন খাতে সাত হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন। এর আগের কয়েক বছর এই আয়ের পরিমাণ ছিল প্রতি বছর ১১ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা। করোনাকালীন সঙ্কটে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রি কমে যাওয়ায় নিবন্ধন খাতে আয় কমেছে। নিবন্ধন ছাড়াও আবাসন খাত থেকে ভ্যাট ও অন্যান্য কর বাবদ সরকারের আয় কয়েক হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, সরকার আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে ছাড় দেয়ায় বড় অঙ্কের অর্থ অর্থনীতির মূলধারায় ফিরে আসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগামী বাজেটে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখা উচিত। প্রাক-বাজেটের অপর আলাচনায় বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, শুল্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে যৌথ অডিট কার্যক্রম চালুর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে মোট ২১টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন বিডার পরিচালক মোঃ আরিফুল হক। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, শুল্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে যৌথ অডিট কার্যক্রম চালুর জন্য আয়কর, মূসক ও শুল্ক আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করছি। প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমানে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর বিভাগ আলাদাভাবে অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করে। একই অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ওপর একাধিকবার ভিন্ন বিভাগ অডিট কার্যক্রম পরিচালনার ফলে অহেতুক বিনিয়োগকারীদের সময় ও খরচ বাড়ে। একইভাবে তা সরকারেরও ব্যয় বাড়িয়ে অসাধু করদাতাদের কর ফাঁকির সুযোগ তৈরি করে দেয়। একইসঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনায় এসএমই খাতের জন্য কর ও ভ্যাট মওকুফ করার প্রস্তাব দেয় বিডা।

সর্বশেষ হালনাগাদ 4 years আগে

Leave A Reply

Exit mobile version