Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    মঙ্গলবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    ব্যাংক খাত পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগে সম্ভাবনার আলো

    আগস্ট ৩, ২০২৫ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ0
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
    সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে যা ঘটেছে, তা ইতিহাসের অন্যতম বড় আর্থিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই দীর্ঘ সময় ধরে সংঘটিত বেপরোয়া লুটপাটে ব্যাংক খাতে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিন কৌশলে আড়াল করে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ছাপিয়ে ওই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা হয়, কিন্তু এতে লুটপাট রোধ হয়নি; বরং ছাপানো অর্থও চুরি হয়েছে। এর ফলে বেড়েছে তারল্য সংকট, তৈরি হয়েছে ভয়াবহ ডলার ঘাটতি এবং মূল্যস্ফীতির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।

    অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন, যা পরে এক গণআন্দোলনে রূপ নেয় এবং এর চাপে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আগের সরকারের আমলে সংঘটিত আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন সরকারি অনুসন্ধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে, যার একটি বড় অংশ বৈধপথে বিদেশে পাচার হয়েছে।

    লুটপাটের সেই টাকাগুলো একে একে খেলাপি ঋণে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে গত এক বছরে বেড়েছে ৩ লাখ কোটিরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অবলোপনকৃত ঋণ, আইনি জটিলতায় আটকে থাকা এবং গোপন খেলাপি হিসাবগুলো যুক্ত করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

    অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মইনুল ইসলাম জানান, খেলাপি ঋণের সব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। শুধু অবলোপনকৃত ঋণই ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া অনেক গোপন খেলাপি ঋণও ব্যাংকের হিসাব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে প্রকৃত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।

    গত এক বছরে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ঘাটতি এমন মাত্রায় পৌঁছায় যে একাধিক ব্যাংক দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খায়। অনেক গ্রাহক তাদের আমানতের অর্থ তুলতে পারেননি। ব্যাংকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি হিসাবে কয়েকটি ব্যাংকের ঘাটতি ছিল—যা সুস্থ অর্থনীতিতে গুরুতর সংকেত।

    ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই চলতি হিসাব ঘাটতি বহুদিন চাপা রাখা হয়, যা ছিল ব্যাংক খাতের চূড়ান্ত ভঙ্গুরতার ইঙ্গিত। এই ভঙ্গুর খাত পুনরুদ্ধারে বর্তমান সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। গঠিত হয় তিনটি বিশেষ টাস্কফোর্স—একটি ব্যাংক খাত সংস্কারে, একটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং অন্যটি অর্থ পাচার রোধে। এসব টাস্কফোর্স প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী করা, দুর্বল ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা, পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজারের বেশি সন্দেহভাজন হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

    ২০২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। এর মধ্যে ৮৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ৩৩ হাজার কোটি টাকা দৈনন্দিন কার্যক্রমের ঘাটতি মোকাবিলায় এবং ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আন্তঃব্যাংক গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় সরবরাহ করা হয়েছে।

    এছাড়া সংকটাপন্ন ৫টি ব্যাংককে একীভূত করে সচল রাখতে আগামী এক বছরে ২ লাখ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এর লক্ষ্যে একটি 'ব্রিজ ব্যাংক' গঠনের কাজ চলছে। এই ব্রিজ ব্যাংক ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব নিয়ে সেগুলোকে পুনর্গঠন করবে।

    বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এখন খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতির চরম পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মূলধন সংরক্ষণের হার নেমে এসেছে ৩.০৮ শতাংশে, যা ২০০৪ সালের পর সর্বনিম্ন। অথচ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী এ হার হওয়া উচিত ১২ শতাংশের বেশি। প্রভিশন ঘাটতির কারণে ব্যাংকগুলো চরম সংকটে পড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসাব করেছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত পুনরুদ্ধারে কমপক্ষে ৪ লাখ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এ বিপুল অর্থায়ন ছাড়া খাতটির টেকসই চাঙ্গা হওয়া সম্ভব নয়। তবে ইতোমধ্যেই কিছু দুর্বল ব্যাংক স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলতি হিসাবের ঘাটতি সমন্বয় করতে সক্ষম হয়েছে এবং কিছুটা হলেও তারল্য সংকট কাটতে শুরু করেছে।

    বিগত সরকারের সময় সংঘটিত দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রশ্রয় ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত আজ বিপর্যস্ত। বর্তমান সরকারের গৃহীত উদ্যোগ সময়োপযোগী ও যথার্থ। তবে এই উদ্যোগের সফলতা নির্ভর করবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর। এখন প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটি কার্যকর ও স্থিতিশীল ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ●
    অকা/ব্যাংখা/ই/সকাল/৩ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    সর্বশেষ হালনাগাদ 4 months আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আবারও ঊর্ধ্বমুখী

    জামানতহীন ঋণ বন্ধে আইএমএফের চাপ

    শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা

    খেলাপি ঋণ সংকটে আংশিক অবলোপন নীতি

    প্রভিশন ঘাটতিতে ব্যাংক খাতের চাপ আরও তীব্র

    একীভূত পাঁচ ব্যাংকের ডিলিস্টিং প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায়

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আবারও ঊর্ধ্বমুখী

    রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও এনবিএফআই সংকটে শেয়ার বাজারে টানা দরপতন

    জামানতহীন ঋণ বন্ধে আইএমএফের চাপ

    শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা

    খেলাপি ঋণ সংকটে আংশিক অবলোপন নীতি

    চার মাসের ধারাবাহিক পতনে উদ্বেগ বাড়ছে
    রফতানি আয় টানা চাপে

    প্রভিশন ঘাটতিতে ব্যাংক খাতের চাপ আরও তীব্র

    একীভূত পাঁচ ব্যাংকের ডিলিস্টিং প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায়

    বেসরকারি খাতে ঋণে চার বছরের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

    দাম কমলেও ভোক্তারা সুবিধা পাচ্ছেন না
    পাম অয়েলে বিশ্ববাজারে বড় পতন

    মিউচুয়াল ফান্ড খাতে গভীর অচলাবস্থা ও আস্থাহীনতার সংকট

    মুদ্রাস্ফীতি কমলেও ঋণ প্রবাহে স্থবিরতা

    এনবিএফআই অবসায়নে শেয়ার বাজারে নতুন আতঙ্ক

    বিআইপিডি এর উদ্যোগে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন

    ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের লিটারে ২ টাকা দাম বৃদ্ধি

    বৈদেশিক ঋণ – চার মাসে যত অর্থ ছাড়, প্রায় ততটাই পরিশোধ

    ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ -এর চূড়ান্ত অনুমোদন

    পেঁয়াজের বাজারে স্থায়ী অস্থিরতা

    ওষুধ শিল্পে মূল্য স্থবিরতা ও ব্যয় চাপের দ্বিমুখী সংকট

    ব্যাংকিংয়ে ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্যেও ৭৫% গ্রাহক এখনো অন্ধকারে

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.