অর্থকাগজ প্রতিবেদন

বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষায়িত অঞ্চলের টাইপ ‘বি’ ও টাইপ ‘সি’ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় (এফসি) রফতানি আয় সংরক্ষণের নীতি সহজ করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) জারি করা এক সার্কুলারে জানানো হয়, বিশেষায়িত ও অ-বিশেষায়িত উভয় অঞ্চলের রফতানিকারকদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ নীতিমালায় সমতা আনা হয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো বিশেষায়িত অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোর রফতানি আয় ব্যাক-টু-ব্যাক আমদানি দায় পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত এফসি মুদ্রায় ব্যাক-টু-ব্যাক সেটেলমেন্ট পুলে রাখতে পারবে। এ পুলে শুধুমাত্র আমদানি দায়ের অংশই নয়, স্থানীয় মূল্য সংযোজনের অংশও রাখা যাবে, যা সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব।

এই ৩০ দিনের মধ্যে অব্যবহৃত অর্থ অন্য কোনো ব্যাংকে স্থানান্তর করে সংশ্লিষ্ট রফতানিকারক বা তাদের সহযোগী/অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় পরিশোধ করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলে অব্যবহৃত অর্থ নগদায়ন করতে হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে—

  • মোট রফতানি আয়ের অন্তত ২০ শতাংশ (গার্মেন্টস খাতে ২৫ শতাংশ) রূপান্তরের পর অবশিষ্ট অর্থ রফতানিকারকের এফসি হিসাবে জমা দেওয়া যাবে।

  • যারা ব্যাক-টু-ব্যাক পদ্ধতি ছাড়া রফতানি করেন, তারাও প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য ৩০ দিন পর্যন্ত রফতানি আয় এফসিতে রাখতে পারবেন।

  • একইভাবে ৩০ দিনের মধ্যে অব্যবহৃত অর্থ স্থানান্তর বা নগদায়ন করে অবশিষ্ট অংশ এফসি হিসাবে রাখা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে ব্যবসায়ীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, বিশেষায়িত ও অ-বিশেষায়িত অঞ্চলের মধ্যে নীতি সমতা নিশ্চিত হওয়ায় রফতানি আয়ের লেনদেন প্রক্রিয়ায় গতি আসবে। একইসঙ্গে এটি বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা দেশের আমদানি-রফতানি ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।
অকা/প্র/ই/সকাল/১১ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

সর্বশেষ হালনাগাদ 1 month আগে

Leave A Reply

Exit mobile version