অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
দেশের অনেক নারী অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। অর্থনীতিতে তাদের যে অবদান তার সঠিক হিসাব বের করতে পারছি না আমরা। নারীকে আনুষ্ঠানিক খাতের হিসাবে নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বাজেটের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তবে জেন্ডার বাজেট শুধু প্রণয়ন করলে চলবে না, এর কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৫ মে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টি পারপাস হলে জেন্ডার বাজেট ২০২৪-২৫ প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন এবং তার কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব। টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য নারীদের ক্ষমতায়ন জরুরি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারীর ক্ষমতায়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, এখনো নারীরা কর্মক্ষেত্র বা অর্থনৈতিকভাবে যেসব জায়গায় পিছিয়ে তাদের সেখানে এগিয়ে নিতে জেন্ডার বাজেট বিশেষ অবদান রাখতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের বাজেটে নারীদের উন্নয়নে যথেষ্ট বরাদ্দ রেখেছিলেন। তিনি জানতেন দেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে নিতে নারীদের উন্নয়নটা জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র ও সমাজ সর্বত্র নারীদের সম্মানজনক জায়গায় আসীন করেছেন। তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছেন। তবে এখনো কিছু মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়ে গেছেন। এদের জন্য সরকার মা ও শিশু সহায়তা দিচ্ছে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে নারী ও শিশু সহায়তার উপকারভোগীর সংখ্যা দুই লাখ বাড়িয়ে ১৫ লাখে উন্নীত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কর্মশালায় ৪৪টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কর্মকর্তরা অংশ নেন। জেন্ডার বাজেটের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুগ্মসচিব মেহেদী মাসুদুজ্জামান।
অকা/বাজেট/ফর/সকাল, ১৬ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে
