অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নেপালের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। পরবর্তীতে ভারত ও ভুটানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুরু হলেও নানা জটিলতার কারণে ২৮ বছরেও প্রত্যাশিত সফলতা অর্জন করতে পারেনি স্থলবন্দরটি। অভিযোগ আছে নানা প্রতিবন্ধকতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি কার্যক্রম। একসময় ভারত ও ভুটান থেকে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক পাথর আমদানি হলেও এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাকে। অনেক সময় তারও নিচে নেমে আসে এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্দর কর্তৃপরে হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন কম পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে করে আমদানিতে ধাক্কা খাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থল বন্দরটি। মূলত ভারতের ভেতরে একের পর এক সৃষ্ট নতুন প্রতিবন্ধকতা দায়ী বলে জানানো হয়েছে। এর মাঝে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ সবার মাঝে দুশ্চিন্তা থাকলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে রফতানিখাতে। প্রতিদিন আলু, পাট ও গার্মেন্টস ঝুটসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্য নেপালসহ প্রতিবেশী দেশে রফতানি হচ্ছে। খানিকটা আমদানির পাশাপাশি রফতানির কারণে কিছুটা কর্মযজ্ঞ বা মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে বন্দর এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানান, রফতানি বাড়লেও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, শুল্ক জটিলতা ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে এখনো কাক্সিত সাফল্য আসেনি। আর শ্রমিক নেতাদের দাবি, বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানও বাড়বে।
বন্দর সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের শুরুতে ভুটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সীমিত আকারে শুরু হলেও ভারতের সঙ্গে মূল্য নিয়ে মতবিরোধের জেরে বছরের শুরু থেকে ভারতীয় পাথরের আমদানি কার্যত বন্ধ। যা এখনো বন্ধ রয়েছে।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারত ও ভুটানের দ্বন্দ্বের কারণে আমদানি প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন আমদানি কমেছে এই স্থলবন্দর দিয়ে। তবে তবে পাথর নির্ভরশীল এই বন্দর দিয়ে নেপালসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টন। সমস্যাগুলো কেটে গেলে এ বন্দর দেশের অর্থনীতিতে আরও বড় ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধকেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, বর্তমানে নেপালে আলু ও পাটের চাহিদা দ্বিগুণ রয়েছে। একইসঙ্গে আলুসহ বাংলাদেশি এসব পণ্যের গুণগতমান ভালো থাকায় দিন দিন চাহিদাও বাড়ছে। এতে রফতানি কার্যক্রম বিদেশি মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ●
অকা/বাণিজ্য/ফর/সন্ধ্যা/৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 3 months আগে

