অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
৩০ জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কোন পর্যটক আর সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন না। অর্থাৎ ৯ মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন। নির্ধারিত সময় শেষে নভেম্বর থেকে আবার খুলে দেয়া হবে সেন্টমার্টিন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই দুই মাস দৈনিক দুই হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ ও সেখানে রাত যাপনের সুযোগ পান। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কোনো পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন না। সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, সাধারণত প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটক যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু এ বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বীপে ভ্রমণের সময় অন্তত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো উচিত। যদিও স্থানীয়রা সরকারকে পর্যটকদের সার্বণিক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। আরো এক মাস এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণে নির্দেশনায় এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রতি বছর নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হবে। শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। এর মধ্যে নভেম্বর মাসে রাতযাপন করতে পারবেন না পর্যটকরা। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ সুরায় সরকার এই পদপে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এখানে ১০ হাজারের অধিক মানুষের জীবিকা পর্যটনের ওপর নির্ভর করে। জাহাজ চলাচল ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো গেলে বাসিন্দাদের উপকার হতো।
পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে ১২টি জাহাজ যাতায়াত করে আসছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, ইনানী-সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার- সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন- এই চারটি নৌপথ দিয়ে এত দিন জাহাজ চলাচল করে আসছিল। এর মধ্যে বর্তমানে শুধু কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল করছে। সাধারণত টেকনাফ থেকে নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করতেন পর্যটকরা। তবে মিয়ানমারের রাখাইনের সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতির ফলে নৌপথটিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ●
অকা/পর্যটন/ফর/রাত/২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 9 months আগে

