অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
দেশে নয় হাজার ৮৬০ কোটি টাকার বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনে বিশ্বের ৩৮ দেশের ৫৫২টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ৩৬৯টি বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে ১১৬ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগের আশ্বাস মিলেছে, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় ৯ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা।
সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন থেকে প্রাপ্তির বিষয়টি এভাবেই জানালেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। তিনি জানান, ১৩ দেশের ২০টি কোম্পানি যৌথ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর বাংলাদেশ থেকে ২৬টি পণ্য আমদানির বিষয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
২ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ের এসব তথ্য জানান ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে করোনাকালে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার বিষয়টি সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে।
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) যৌথ আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন ১ নভেম্বর শেষ হয়েছে।
রিজওয়ান রাহমান জানান, অবকাঠামো, ওষুধ, ছাতা, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চীন, নাইজেরিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের উদ্যোক্তারা সরাসরি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডেইরি পণ্য, চামড়া, তৈরি পোশাক, ভোগ্যপণ্য, পাট, অটোমোবাইল খাতেও বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে।
#
সর্বশেষ হালনাগাদ 4 years আগে
