Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    মজুরি ও মর্যাদায় পিছিয়ে নারীরা

    অক্টোবর ৪, ২০২৫ ৬:৫২ অপরাহ্ণ5
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
    পরিবারে বেশি সময় দিয়েও পুরুষের সঙ্গে সমান সময় দিয়ে কাজও করেন নারীরা। কিন্তু মজুরি পান অপোকৃত কম। আবার প্রমোশনের বেলায়ও মূল্যায়ন কম। এর ফলে অর্থনৈতিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। কৃষি খাতে অবদান রাখলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পান না মজুরি। সব মিলিয়ে শিতি-অশিতি-নির্বিশেষে কর্মক্ষেত্রে নারী এখনো বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানান।

    সংস্থাটির শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এর তথ্য বলছে, দেশে এখন শ্রমম মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ১৮ লাখ। এর মধ্যে সক্রিয়ভাবে শ্রমশক্তিতে যুক্ত আছে সাত কোটি ১৭ লাখ মানুষ। নারী শ্রমশক্তি দুই কোটিরও বেশি—মোট শ্রমশক্তির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। ১০ বছর আগে এই হার ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ, এখন বেড়ে প্রায় ৩৯ শতাংশে পৌঁছেছে।

    এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক, কিন্তু একই সঙ্গে মনে করিয়ে দেয় বড় এক ফারাকের কথা। পুরুষদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ যেখানে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ, সেখানে নারীদের হার অর্ধেকেরও কম। অর্থাৎ সম নারীদের বিশাল একটি অংশ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারছে না।

    একই কাজের বিনিময়ে সমান মজুরি- এমন আইন দেশে আছে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে।

    শ্রমশক্তি জরিপে দেখা গেছে, মাসিক গড় আয়ে পুরুষ শ্রমিক পান প্রায় ১৬ হাজার টাকা, নারীরা পান মাত্র ১২ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ নারীরা গড়ে পুরুষের তুলনায় এক-পঞ্চমাংশ কম আয় করছেন। এ বৈষম্য শহর-গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। কৃষি খাতে নারীর শ্রমকে প্রায়ই ‘সহায়ক’ বলা হয়, ফলে তাঁদের আয়ের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে ধরা হয় না। আবার শিল্প বা সেবা খাতেও একই কাজের জন্য নারীরা পুরুষের চেয়ে কম বেতন পান।

    এ বিষয়ে উইমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল বলেন, কর্মক্ষেত্রে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি দেশের আর্থ-সামাজিক সমতার একটি ভালো অর্জন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারছেন, কিন্তু উচ্চ পর্যায়ে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ জন্য নারী সহায়ক নীতি ও নারী সংবেদনশীল সমাজ গঠন করলে উচ্চ পদে নারীদের কাজের সুযোগ বাড়বে।

    বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে বলা হয় নারীর কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্রে। এই খাতেই কাজ করেন কয়েক লাখ নারী। কিন্তু এখানেও বেতনবৈষম্য সুস্পষ্ট। একাধিক গবেষণা বলছে, একই কাজ করেও নারী শ্রমিকের মূল বেতন পুরুষের চেয়ে ২২ থেকে ৩০ শতাংশ কম।

    সাভারের একটি কারখানায় ছয় বছর ধরে একই পদে কাজ করেও সামান্য বেতন বৃদ্ধি ছাড়া কোনো প্রমোশন পাননি রেহানা আক্তার। তার ভাষায়, ‘একই কাজ করি, কিন্তু সুযোগে আমরা পিছিয়ে।’ অন্যদিকে একই কারখানার পুরুষ সহকর্মীরা নিয়মিত পদোন্নতির সুযোগ পান।

    যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাংকর রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক জরিপ থেকে জানা যায়, দেশের রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) ফ্যাক্টরিগুলোতে ‘জেন্ডার পে গ্যাপ’ বা লিঙ্গভেদে আয়ের পার্থক্য ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ল করা গেছে। আরএমজি খাতে বেশির ভাগ কর্মী নারী হলেও ফ্যাক্টরির ম্যানেজারিয়াল পদে পুরুষরাই থাকেন। যোগ্যতা থাকলেও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব পান না নারীরা। এর প্রধান কারণ সংসারের চাপে তাঁরা যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। সময় দিতে না পারার কারণে অনেক সময় পদোন্নতি পেলেও স্বেচ্ছায় সুযোগ ছেড়ে দেন।

    উচ্চশিতি নারীরাও এই বৈষম্যের বাইরে নেই। স্নাতক বা এর বেশি ডিগ্রিধারী নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় ২৯ শতাংশ। একই শিক্ষাগত যোগ্যতার পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১২ শতাংশ। অর্থাৎ যোগ্যতা, দতা ও ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও নারীরা কাজ পাচ্ছেন না। যারা কাজ পাচ্ছেন, তারাও সমান বেতন বা পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    অর্থনীতির আরেকটি অন্ধকার দিক হলো অবৈতনিক যত্নশ্রম। ঘর গোছানো, খাবার রান্না, শিশু ও বৃদ্ধের যত্ন-এসব কাজে প্রতিদিন গড়ে ছয় ঘণ্টা ৪০ মিনিট ব্যয় করেন নারীরা। পুরুষরা এই কাজে সময় দেন গড়ে মাত্র দুই ঘণ্টা ২০ মিনিট।

    ‘অবৈতনিক গৃহস্থালি ও যত্নশ্রম জরিপ ২০২৪’-এর হিসাব অনুযায়ী, শুধু এই শ্রম অর্থনীতিতে ধরা হলে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসত নারীর অবদানে। অথচ এই শ্রমের কোনো পারিশ্রমিক নেই, নেই স্বীকৃতি।

    নারীর কাজকে এখনো পরিবারে ‘সহায়ক’ বা ‘অতিরিক্ত আয়’ হিসেবে দেখা হয়। কর্মেেত্র নারীরা হয়রানির শিকার হন, অনেক সময় বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়তে হয়। করপোরেট ও প্রশাসনিক পর্যায়ে নারীর উপস্থিতি কম। সন্তান ও গৃহস্থালির দায়িত্বের ভার তাদের সুযোগ সীমিত করে দেয়। ফলে তারা সমান শ্রম দিলেও সমান মর্যাদা পান না।

    দণি এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কিছু ক্ষেত্রে এগিয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়েও আছে। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাধারণত নারীর অংশগ্রহণ কম, বেকারত্ব বেশি এবং কাজগুলো হয় অনানুষ্ঠানিক খাতে। বাংলাদেশও সেই বাস্তবতা থেকে বের হতে পারেনি।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যা মূলত বাস্তবায়নে। সমান মজুরির আইন থাকলেও তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে না। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা এই সুবিধা থেকে প্রায় পুরোপুরি বঞ্চিত। এই বৈষম্য দূর করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

    নারীদের ঘরের কাজের মূল্যায়নের বিষয়ে সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, গৃহস্থালিতে নারীরা যেসব কাজ করছেন তা সরকারি হিসাব বা জিডিপিতে প্রকাশিত হয় না। ফলে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে উপো করা হচ্ছে, যার মূল্য অনেক। নারীর অবদানকে যদি স্বীকৃতি দেয়া হয়, তাহলে নীতি নির্ধারণকারীরা সামাজিক সেবা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে আরো বাস্তবভিত্তিক বাজেট ও কর্মসূচি তৈরি করতে পারবেন।

    এ বিষয়ে নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘বিবিএসের এই গবেষণা ভবিষ্যতে লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়নে সহায়তা করবে। আমরা নারীরা পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে, জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে সমতার সম্মান চাই। ●

    অকা/আখা/ফর/সন্ধ্যা/৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    সর্বশেষ হালনাগাদ 1 week আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    শেয়ার বাজারে আস্থাহীনতার সংকট গভীরতর

    রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভে স্বস্তি

    একশ’ মে.ও. সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নেটওয়ার্ক পরিচালনায় ফ্লোসোলারের সঙ্গে বাংলালিংকের অংশীদারিত্ব

    অর্থনীতির শ্লথ গতি – পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন জিডিপি প্রবৃদ্ধি

    চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি – বিদেশি প্রভাব না অর্থনৈতিক প্রয়োজন?

    দুর্বল লিজিং কোম্পানি বন্ধে সরকারের সাহসী পদক্ষেপে আর্থিক খাতে সংস্কারের নতুন বার্তা

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    অমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫
    ব্যাংক ও আমানতকারীদের জন্য নতুন যুগের সূচনা

    শেয়ার বাজারে আস্থাহীনতার সংকট গভীরতর

    চট্টগ্রাম বন্দর – বিদেশি অপারেটর ও ট্যারিফ পুনর্বিন্যাসের কৌশলগত পদক্ষেপ

    রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভে স্বস্তি

    একীভূত পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারধারীদের অনিশ্চয়তা

    একশ’ মে.ও. সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নেটওয়ার্ক পরিচালনায় ফ্লোসোলারের সঙ্গে বাংলালিংকের অংশীদারিত্ব

    ভারতীয় সুতার দাপটে সংকটে দেশীয় টেক্সটাইল খাত

    অর্থনীতির শ্লথ গতি – পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন জিডিপি প্রবৃদ্ধি

    এবার বিশ্ব বাজারে রুপার দামেও নতুন রেকর্ড

    বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে উদ্যোগ সরকারের

    চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি – বিদেশি প্রভাব না অর্থনৈতিক প্রয়োজন?

    দুর্বল লিজিং কোম্পানি বন্ধে সরকারের সাহসী পদক্ষেপে আর্থিক খাতে সংস্কারের নতুন বার্তা

    পাঁচ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৌদি ব্যবসায়ীদের

    অক্টোবরের প্রথম সাতদিনে প্রবাসী আয় ৮৪৪২ কোটি টাকা

    দরপতনের দিকে যাচ্ছে পুঁজি বাজার

    আমানতের মাইলফলক স্পর্শ করল ট্রাস্ট ব্যাংক

    দরপতনের পর বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি

    প্রবাসী যোদ্ধাদের সুরক্ষায় গার্ডিয়ান লাইফ ও কিনিকল

    বাজার থেকে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক

    মার খাচ্ছে জ্বালানি খাত
    সূচকের অস্থির আচরণ দুই পুঁজি বাজারে

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.