অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
ঈদুল আজহার ছুটির আমেজ কাটতে না কাটতেই রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ ও মাংসের বাজারে দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, ঈদের পর বাজারে চাহিদা বাড়ায় এই মূল্যবৃদ্ধি হলেও দ্রুত সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমতে পারে। ১৩ জুন রাজধানীর বাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঈদের আগের তুলনায় অধিকাংশ মাছের দামই বেড়েছে। পাঙাশ মাছ ঈদের আগে যেখানে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা বেড়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়ার দাম ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩৫-২৫০ টাকা, রুই মাছ ৩০০-৩২০ টাকা থেকে ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতলা মাছের দাম ৩৫০-৪০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪৫০-৫০০ টাকা, কই মাছ ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারেও একই চিত্র। ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকা হয়েছে।
ডিমের দামেও ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১০ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতিপিস ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এই মূল্যবৃদ্ধিতে স্বস্তি বিক্রেতাদের মুখে হলেও বাড়তি আর্থিক চাপ পড়েছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর। মেরাদিয়া হাটে মাছ কিনতে আসা ক্রেতা ােভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদের পর এমনিতেই খরচ বাড়ে, তার ওপর মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে এখন আমিষ শুধু বিত্তবানদের জন্য।
বিক্রেতারা অবশ্য এটিকে স্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন। এক মাছ বিক্রেতা জানান, ঈদের ছুটিতে মোকাম থেকে মাছের সরবরাহ কম ছিল। এখন চাহিদা বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সরবরাহ বাড়লে দামও কিছুটা কমে আসবে। ●
অকা/আখা/ফর/রাত/১৩ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 4 weeks আগে