অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের পুঁজি বাজারে তিনদিন লেনদেন বন্ধ ছিল। সীমিত পরিসরে অফিস ও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর পর পুঁজি বাজার খুললেও কমে আসে লেনদেনের সময়সীমা। ৩১ জুলাই সব অফিস স্বাভাবিক সময়সূচি অনুসারে চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজি বাজারেও লেনদেন আগের মতো ৩১ জুলাই থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এদিকে বিদ্যমান অস্থিরতার প্রভাবে পুঁজি বাজারে নিম্নমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। ৩০ জুলাই সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে পুঁজি বাজারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৩০ জুলাই স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিস চালু রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই থেকে পুঁজি বাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেলা ২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পোস্ট-কোজিং সেশন চলবে।
৩০ জুলাই লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক, যা লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৬১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ৫ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে। ৩০ জুলাই নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ প্রায় ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে। ৩০ জুলাই সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল রেনাটা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস ও গ্রামীণফোনের শেয়ারের।
ডিএসইতে ৩০ জুলাই ৪৩২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৪৫০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ডিএসইতে ৩০ জুলাই মোট ৩৯৭টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৩৪০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, ৩০ জুলাই ডিএসইতে মোট লেনদেনের ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১ শতাংশ লেনদেন ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের দখলে। আর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এছাড়া বস্ত্র খাতে ৮ দশমিক ৪ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ৩০ জুলাই ডিএসইতে সব খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। এর মধ্যে পাট খাতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ এবং সেবা ও আবাসন খাতে ২ দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
দেশের আরেক পুঁজি বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল প্রায় ৮১ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে ৯ হাজার ১২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯ হাজার ২০২ পয়েন্ট। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই ৩০ জুলাই ২০৭ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ১৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ●
অকা/পুঁবা/ফর/সন্ধ্যা/৩১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে