অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটিতে দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বা স্থবির হবে না বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
৪ মে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ক্রয়সংক্রান্ত বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মোট ১৫টি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ১০টির অনুমোদন দেয়া হয়। বাকি পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।
অনুমোদন পাওয়া উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব হলো- জুলাই-ডিসেম্বর ’২০২৫ সময়কালে ১৩ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি। ছয় মাসে জ্বালানি তেল আমদানি করতে ব্যয় হবে ৯ হাজার ১৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত ময়মনসিংহ জুট মিলের ১৭ একর জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এ দিকে ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটি এ সময় দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা বা স্থবির হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, স্থবির হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে ব্যবসা করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে কোন কোন দিন কোন কোন স্থানে ব্যাংক খোলা থাকবে। গরুর হাটে কিভাবে থাকবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বাজেট দিয়ে দিয়েছি। বাজেটে মোটামুটি কর্মপন্থা কী হবে সে অনুযায়ী কাজ হবে। ঈদের পর বাজেটের ওপর কার কী মন্তব্য, সাজেশেন থাকবে সেটা নেব। ১৯ জুন পর্যন্ত মতামত দিতে পারবে বাজেটের বিষয়ে। ২২ তারিখ কেবিনেট বৈঠকে বাজেট অনুমোদন হবে।
তিন দিনে এটা করা সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা আগে থেকেই বলেছি মতামত প্রতিনিয়তই আসতে থাকবে। একদিনে তো আর সব মতামত আসবে না। ইতোমধ্যেই মতামত দেয়া শুরু হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র মানুষের জন্য তো কোনো সুখবর দেখছি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সুখবর আছে, আপনারা বাজেটের কোথায় কোথায় পরিবর্তন হয়েছে সেটা একটু দেইখেন।
১৩ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি অনুমোদন- জানা গেছে, একটি একক দরপত্রের মাধ্যমে চারটি প্যাকেজের আওতায় জ্বালানি তেল সংগ্রহ করা হবে। দর প্রক্রিয়ায় (কোটেশনে) অংশগ্রহণে ইচ্ছুক একটি দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে (বিডার) চারটি প্যাকেজের সব ক’টি অথবা যেকোনো সংখ্যক প্যাকেজের জন্য দরপ্রস্তাব করার সুযোগ রাখা হয়। দরপত্র দলিলের ক্লজ-৬ অনুযায়ী প্যাকেজ এ এবং প্যাকেজ বি-তে আলাদাভাবে ওয়েটেড অ্যাবরেজ (প্যাকেজভিত্তিক মোট প্রিমিয়াম মার্কিন ডলার-মোট সর্বোচ্চ পরিমাণ ব্যারেল) অনুযায়ী এবং প্যাকেজ সি এবং ডি-তে একটি করে পণ্য হওয়ায় প্রস্তাবিত দর অনুযায়ী সর্বনিম্ন দর নির্ধারণ করা হয়েছে। চাহিদার বিপরীতে আমদানিতব্য পরিমাণে ফ্লেক্সিবিলিটির বিষয় বিবেচনা করে দরপত্র (কোটেশন) প্রক্রিয়ায় গ্যাস অয়েল, ফার্নেস অয়েল ও গ্যাসোলিন পার্সেল আমদানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সীমা রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদা বিবেচনা করে জ্বালানি তেলের মূল্য (প্রিমিয়ামের ভিত্তিতে) নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিবেচনা করা হয়েছে। ●
অকা/আখা/ফর/রাত/৫ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 month আগে