Close Menu
অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
      • আর্থিক খাত
      • আবাসন খাত
      • তৈরি পোশাক শিল্প
      • ওষুধ শিল্প
      • কৃষি শিল্প
      • ই-কমার্স
      • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
      • চামড়া শিল্প
      • তথ্য ও প্রযুক্তি
      • পর্যটন
      • বিশেষ প্রতিবেদন
      • বাণিজ্য
      • প্রবাসী আয়
      • পোলট্রি খাত
      • বাজার
      • শিক্ষা খাত
      • শিল্প খাত
      • রাজস্ব
      • মৎস্য খাত
      • শ্রম বাজার
      • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
      • হিমায়িত খাদ্য
      • যোগাযোগ
      • পরিবহন খাত
      • নগর দর্পন
      • বিশ্ব অর্থনীতি
      • ভিনদেশ
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ
    • ব্যাংক
    • বীমা
    • পুঁজি বাজার
    • নির্বাচিত লেখা
    • আলাপন
    • পরিবেশ
    • আরও
          • আর্থিক খাত
          • ওষুধ শিল্প
          • চামড়া শিল্প
          • বাণিজ্য
          • বাজার
          • মৎস্য খাত
          • যোগাযোগ
          • হিমায়িত খাদ্য
          • বিশেষ প্রতিবেদন
          • তথ্য ও প্রযুক্তি
          • প্রবাসী আয়
          • শিক্ষা খাত
          • কৃষি শিল্প
          • শ্রম বাজার
          • পরিবহন খাত
          • ভিনদেশ
          • রাজস্ব
          • বিশ্ব অর্থনীতি
          • আবাসন খাত
          • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
          • ই-কমার্স
          • পর্যটন
          • পোলট্রি খাত
          • শিল্প খাত
          • স্বাস্থ্য অর্থনীতি
          • তৈরি পোশাক শিল্প
          • নগর দর্পন
    মঙ্গলবার, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
    অর্থকাগজঅর্থকাগজ

    চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি – বিদেশি প্রভাব না অর্থনৈতিক প্রয়োজন?

    অক্টোবর ৯, ২০২৫ ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ4
    শেয়ার
    Facebook Twitter LinkedIn Email WhatsApp Copy Link

    অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) সাম্প্রতিক মাশুল বৃদ্ধির ঘোষণাটি দেশের ব্যবসায়িক মহলে তীব্র আলোড়ন তুলেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথমবার ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে—এ যেন অনেকটা সময়োচিত সমন্বয়। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল ‘সমন্বয়’ নয়; বরং এক জটিল প্রভাবের ফল, যেখানে সরকারি সিদ্ধান্তের পেছনে বিদেশি উপদেষ্টাদের প্রভাব, স্বার্থসংঘাত এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতার মিশ্রণ কাজ করছে।

    ১৯৮৬ সালে যখন বন্দরের ট্যারিফ সর্বশেষ নির্ধারিত হয়, তখন এক ডলারের মান ছিল মাত্র ২৭ টাকা। এখন তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২২ টাকায়। অর্থাৎ চার দশকে ট্যারিফ না বাড়িয়েও বন্দরের টাকায় আয় বাস্তবে চারগুণ বেড়েছে। তবু ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২,৯১৩ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফার পরও কেন হঠাৎ এই মাশুল বাড়ানো হলো—এই প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে।

    বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, দীর্ঘদিনের স্থবির কাঠামো হালনাগাদ করা হয়েছে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আধুনিকায়নের প্রয়োজনে। কিন্তু প্রাপ্ত নথি বলছে, নতুন ট্যারিফ কাঠামোটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)–এর প্রস্তাবিত মডেলের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়। এই আইএফসি-ই আবার পতেঙ্গা ও লালদিয়া টার্মিনালের কনসেশন চুক্তির পরামর্শদাতা, যেখানে বিদেশি অপারেটরদের জন্য বাজার “বিনিয়োগবান্ধব” করে তোলাই ছিল মূল লক্ষ্য।

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এখানেই তৈরি হয়েছে মূল স্বার্থসংঘাত। আইএফসি একদিকে সরকারের পরামর্শদাতা, অন্যদিকে বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্য অর্থায়নকারী। যেমন, সিঙ্গাপুরের বন্দর অপারেটর পিএসএ যে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বে টার্মিনাল প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে, সেটিতেও আইএফসি অর্থায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অর্থাৎ, যারা নীতিনির্ধারণ করছে, তারাই বিনিয়োগকারী হিসেবে লাভবান হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

    বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এম. শাহজাহান বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে বলেন, “যদি একই প্রতিষ্ঠান সরকারকে নীতিগত পরামর্শ দেয় এবং বিনিয়োগেও অংশ নেয়, তবে এটি নীতিগত নিরপেক্ষতা নষ্ট করে।” অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ আরও স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এটি এক ধরনের নরম বাণিজ্যিক উপনিবেশ—যেখানে সিদ্ধান্ত সরকারের নয়, পরামর্শদাতার কলমেই লেখা হয়।”

    ২০২৪ সালের জুনে বিশ্বব্যাংক বে টার্মিনালের জন্য ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয়। সেই বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল—আইএফসি একই প্রকল্পে সরাসরি বিনিয়োগ বিবেচনা করছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, আইএফসি কি নীতিনির্ধারণের মুখোশে বন্দর অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারের নতুন কৌশল নিয়েছে?

    আইএফসি অবশ্য দাবি করেছে, তারা সরকারের স্বার্থে কাজ করে এবং “অপারেশনাল কনফ্লিক্ট নীতি” অনুসারে বিনিয়োগ ও পরামর্শদাতা দল আলাদা রাখা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই নীতিগুলোর প্রয়োগ কতটা কার্যকর, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।

    ট্যারিফ বৃদ্ধির বিশ্লেষণে দেখা যায়, কনটেইনার হ্যান্ডলিং, ক্রেন অপারেশন, রিফার প্লাগ-ইনসহ যেসব সেবায় বেসরকারি অপারেটরদের সরাসরি লাভ, সেসব খাতেই বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি—গড়ে ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০ ফুট রিফার কনটেইনারের প্লাগ-ইন চার্জ ৯ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ২১ ডলার।

    ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবে তাদের ব্যয় আরও বাড়াবে। ২০২০ সালে যখন এক ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা, তখন ৪৩ ডলারের হ্যান্ডলিং ফি ছিল ৩,৬৫৫ টাকা। এখন ডলার ১২৪ টাকায় দাঁড়ানোয় একই ফি হয়ে গেছে ৫,৩৩২ টাকা—অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ বেশি। তার ওপর আবার নতুন ট্যারিফের বোঝা।

    র‍্যাপিড চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মনে করেন, “বন্দর ট্যারিফ বাড়ানো একেবারে অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু এটি ধাপে ধাপে করা উচিত ছিল। একবারে এতটা বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।”

    অন্যদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের যুক্তি, চার দশক পর এই সমন্বয় না করলে ভবিষ্যতের বড় বিনিয়োগ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অর্থের ঘাটতি তৈরি হতো। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আসল সংকট ট্যারিফ নয়, বরং দক্ষতা, জট ও স্বচ্ছতার অভাব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম যেখানে ২৪ ঘণ্টার কম, সেখানে চট্টগ্রামে লাগে ৫ থেকে ৭ দিন—যা ব্যবসায়ীদের প্রকৃত খরচ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

    সব মিলিয়ে এই ট্যারিফ বৃদ্ধি কেবল মাশুলের বিষয় নয়; এটি বাংলাদেশের বন্দরনীতি, বিদেশি প্রভাব ও অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রমাণ করবে—বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন কি সত্যিই জাতীয় প্রয়োজনে হচ্ছে, নাকি বিদেশি বিনিয়োগের শর্তে গড়ে উঠছে এক নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতা। ●
    অকা/রা/ই/সকাল/৯ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    সর্বশেষ হালনাগাদ 5 days আগে

    এই বিষয়ে আরও সংবাদ

    রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভে স্বস্তি

    একশ’ মে.ও. সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নেটওয়ার্ক পরিচালনায় ফ্লোসোলারের সঙ্গে বাংলালিংকের অংশীদারিত্ব

    অর্থনীতির শ্লথ গতি – পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন জিডিপি প্রবৃদ্ধি

    দরপতনের পর বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি

    সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

    সঞ্চয়পত্র নাকি শেয়ার বাজার
    বিনিয়োগের সঠিক ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া জরুরি

    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    চট্টগ্রাম বন্দর – বিদেশি অপারেটর ও ট্যারিফ পুনর্বিন্যাসের কৌশলগত পদক্ষেপ

    রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভে স্বস্তি

    একীভূত পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারধারীদের অনিশ্চয়তা

    একশ’ মে.ও. সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নেটওয়ার্ক পরিচালনায় ফ্লোসোলারের সঙ্গে বাংলালিংকের অংশীদারিত্ব

    ভারতীয় সুতার দাপটে সংকটে দেশীয় টেক্সটাইল খাত

    অর্থনীতির শ্লথ গতি – পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন জিডিপি প্রবৃদ্ধি

    এবার বিশ্ব বাজারে রুপার দামেও নতুন রেকর্ড

    বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে উদ্যোগ সরকারের

    চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি – বিদেশি প্রভাব না অর্থনৈতিক প্রয়োজন?

    দুর্বল লিজিং কোম্পানি বন্ধে সরকারের সাহসী পদক্ষেপে আর্থিক খাতে সংস্কারের নতুন বার্তা

    পাঁচ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৌদি ব্যবসায়ীদের

    অক্টোবরের প্রথম সাতদিনে প্রবাসী আয় ৮৪৪২ কোটি টাকা

    দরপতনের দিকে যাচ্ছে পুঁজি বাজার

    আমানতের মাইলফলক স্পর্শ করল ট্রাস্ট ব্যাংক

    দরপতনের পর বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি

    প্রবাসী যোদ্ধাদের সুরক্ষায় গার্ডিয়ান লাইফ ও কিনিকল

    বাজার থেকে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক

    মার খাচ্ছে জ্বালানি খাত
    সূচকের অস্থির আচরণ দুই পুঁজি বাজারে

    সরকার পরিবর্তনের পর উন্মোচিত ব্যাংক খাতের লুকানো ঋণ কেলেঙ্কারি

    সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

    সম্পাদক প্রণব কুমার মজুমদার

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় - ৬২/১, পুরানা পল্টন (দোতলা), দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

    বিটিসিএল ফোন +৮৮০২৪১০৫১৪৫০ +৮৮০২৪১০৫১৪৫১ +৮৮০১৫৫২৫৪১৬১৯ (বিকাশ) +৮৮০১৭১৩১৮০০৫৩

    ইমেইল - arthakagaj@gmail.com

    Editor PRANAB K. MAJUMDER
    Editorial & Commercial Office - 62/1, Purana Paltan (1st Floor), Dainik Bangla Crossing, Paltan, Dhaka, Bangladesh.
    BTCL Phone +880241051450 +880241051451 +8801552541619 (bkash) +8801713180053
    Email - arthakagaj@gmail.com

    ২০২৪
    অর্থকাগজ
    | আমাদের বৃত্তান্ত | গোপনীয়তা নীতি | শর্তাবলি ও নীতিমালা | প্রচার | বিজ্ঞাপন | বিজ্ঞপ্তি | যোগাযোগ

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.