অর্থকাগজ প্রতিবেদন
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক রফতানি কারক দেশ। ডেনিম পোশাক রফতানিতে আমরা ইউরোপ-আমেরিকায় প্রথম। এ অবস্থানে আসার পেছনে রয়েছে ক্রেতাদের আস্থা ও শিল্পকে টেকসই করতে নানান পদক্ষেপ।’
গতকাল ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’তে তিনি এসব কথা বলেন। ‘রিইমাজিন’ বা ডেনিম শিল্পকে নতুন করে ভেবে দেখা প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীতে চলছে দুই দিনব্যাপী ডেনিম এক্সপো।
রফতানিমুখী ডেনিম পোশাক কারখানাগুলো প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ফেব্রিক জোগান দিতে পারে জানিয়ে কচি বলেন, ‘এ খাতে আরও বিনিয়োগ আসছে। একদশকে ডেনিম প্রসেসিং এ আমরা যথেষ্ট এগিয়েছি। আমাদের এখানে এখন উচ্চমূল্যের ডেনিম তৈরি ও রফতানি হয়।’
কারখানাগুলো নিজস্ব ডিজাইন ও অটোমেশনের দিকে ছুটছে উল্লেখ করে কচি বলেন, ‘বিশ্বে ডেনিমের বাজারে আরও বড় শেয়ারের জন্য তৈরি হচ্ছি। সবুজ ডেনিম কারখানাগুলো বাংলাদেশে অবস্থিত। সারাবিশ্বে টেকসইয়ের দিক থেকে অবস্থান অত্যন্ত সক্রিয়। ডেনিম একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। সবাই মিলে কাজ করলে আরও এগিয়ে যেতে পারবো। যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলা করতে পারলে ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি অর্জন করতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে পোশাক শিল্পের হাত ধরে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ মেইড ইন বাংলাদেশের পোশাক পরিধান করে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশই নয়, নিরাপদ পোশাক প্রস্তুতকারী দেশও। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সবুজ পোশাক কারখানা আমাদের দেশে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের ডেনিম মেলাগুলোর মধ্যে প্রশংসনীয় আয়োজন এটি। এবারের ডেনিম এক্সপোতে ১৩টি দেশ থেকে ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। এ দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ কর্মী আছেন এই শিল্পে। যার ৬৫ শতাংশ নারী। এদেশের ২ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এদেশে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর এদেশে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।’
মন্ত্রী বলেন ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পোশাক ক্রেতাদের আমি অনুরোধ করব, পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ডেসটিনেশন হিসেবে নেবেন। পোশাকের যথাযথ মূল্য আপনারা দেবেন। আফ্রিকার কোন নন কম্পøায়েন দেশের পোশাকের তুলনায় এদেশে পোশাকের মূল্য একটু বেশি হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক।’
‘আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস। তারা প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই পোশাক শিল্পকে তারা আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, বিজিএমইএ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এস.এম. মান্নান কচি, এইচএন্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপীয়র আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
অকা/বাডেএক্সপো/ফর/বিকাল, ০৭-০৫-২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 1 year আগে