অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখা নিয়ে উদ্বিগ্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রণকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘদিন থেকেই চেষ্টা করছে লোকসানে থাকা শাখাগুলো বন্ধ করতে।
অতি সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার পাশাপাশি লোকসান কমিয়ে আনার কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের কাছে লেখা চিঠিতে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের একাধিক শাখার খোলার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের শাখা থাকলে অন্য কোনো সরকারি ব্যাংকের কোনো শাখা সেখানে খোলার অনুমতি দেওয়া হবে না।
চিঠিতে বলা হয়, করোনার এ সময়ে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের নতুন কোনো শাখাও খোলা যাবে না। শাখা খোলার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন কর্মকর্তা অর্থকাগজ এর প্রতিনিধিকে বলেন, এ বিভাগে প্রায়ই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা খোলার অনুমতি নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে একই অঞ্চলে সরকারি ব্যাংকের একাধিক শাখার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এমনকি করোনার বিরাজমান সময়ে নতুন করে শাখা খোলারও প্রয়োজন নেই বলে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।
দেশে ৬টি রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক - সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) এর মোট শাখা রয়েছে ৩৮০৬টি।
এরমধ্যে লোকসানী শাখার সংখ্যা এখন ২২৬। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এক বছরের লোকসানী শাখার পরিমাণ কমলেও এখনও এ ধরনের শাখার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের। তারপর জনতার।
গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরের সভাপতিত্বে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে লোকসানী শাখার বিষয়টি আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে সরকারি এ চার ব্যাংকে লোকসানি শাখার সংখ্যা ছিল ২২৩টি। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৫০, জনতার ৭৯, অগ্রণীর ৭৮ ও রূপালীর ১৬টি শাখা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা এসব শাখাকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা দেখার জন্য ব্যাংকের এমডিদের নির্দেশনা দেন গভর্নর। আর খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
#
সর্বশেষ হালনাগাদ 4 years আগে