অর্থকাগজ প্রতিবেদন
এই দশক শেষে বৈশ্বিক ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির আকার দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রের পরিবেশ পুনরুদ্ধার, সামাজিক ন্যায্যতা এবং উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জীবিকা নিরাপদ নিশ্চিত করতে সরকারি, বেসরকারি এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে এ খাতের বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে মত দিয়েছেন দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদরা।
মালদ্বীপে ব্লু ইকোনমি নিয়ে ইউএনডিপির দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এক সেমিনারের প্রথম দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন। এদিন মোট সাতটি সেশনের মাধ্যমে সেমিনারের প্রথম দিন সম্পন্ন হয়। যার ৫ম সেশনে প্যানালিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এছাড়া প্যানালিস্ট হিসেবে সেশনটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিও ইউনিব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সাসটেইনেবিলিটি অফিসের প্রধান মারলা গারিন-আলভারেজ; ইন্দোনেশিয়ার সরকারী ঋণ সিকিউরিটিজের উপ-পরিচালক চন্দ্র আকুন উইবোও; এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান অর্থ বিশেষজ্ঞ টমাস কেসলার এবং ইনকোফিনের আঞ্চলিক পরিচালক ভুথি চেয়া। সেশনটি পরিচালনা করেছেন ইউএনডিপি ব্যাংকক রিজিওনাল হাবের ক্লাইমেট ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট করণরাজ চৌধুরী।
ব্লু ইকোনমি কিছু উপকরণের মাধ্যমে প্রাইভেট ফাইন্যান্সকে আরও আকর্ষিত করবে। এতে মার্কেট রিটার্ন আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে। তবে অন্যান্য উপকরণ বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করলেও মার্কেট রিটার্ন কম থাকবে, এমনকি এ খাতে ঋণ বৃদ্ধির প্রয়োজন হতে পারে।
উপকরণের উদাহরণ হিসেবে তারা ব্লু বন্ডের অভিজ্ঞতা এবং মিশ্রিত অর্থায়নের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। সেশনটিতে সুনীল অর্থনীতির জন্য অর্থায়ন সুবিধা এবং স্থিতিশীল পরিবেশের কার্যকরী ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ব্লু ইকোনমি সমুদ্র থেকে আহরণকৃত যে কোনো সম্পদ, যা দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়, তাই ব্লু-ইকোনমির পর্যায়ে পড়বে। সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে বেলজিয়ামের অধ্যাপক গুন্টার পাউলি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব মডেল হিসেবে সুনীল অর্থনীতির ধারণা দেন। সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। মৎস্যসম্পদের মাধ্যমে সমুদ্র খাবারের চাহিদা মেটায় এবং পণ্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
অকা/ব্লুইআ/ফর/সকাল, ১৫ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 2 years আগে

