অর্থকাগজ ডেস্ক ●
অক্টোবর মাস নাগাদ টানা ছয় মাস আমদানি ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় কমেছে চীনের। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিও অব্যাহতভাবে কমছে। ৭ অক্টোবর চীনের একটি সরকারি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অক্টোবর মাসে চীন দৈনিক গড়ে ১ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ ও আগের মাসের তুলনায় ২ শতাংশ কম। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটি ১ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছিল।
চীনের তেল-গ্যাসে কোম্পানি পেট্রোচায়নার একটি পরিশোধন কেন্দ্রের সমতা কমে যাওয়া ও স্বায়ত্তশাসিত পরিশোধনকেন্দ্রগুলোয় চাহিদা কমায় অক্টোবরে আমদানি কমে গেছে।
পেট্রোচায়না আগামী বছর দেশটির সবচেয়ে বড় পরিশোধন কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। এরই মধ্যে দালিয়ান রিফাইনারির দৈনিক ২ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধনের প্রায় অর্ধেক বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া শানডং প্রদেশের ব্যক্তিমালিকানাধীন পরিশোধন কেন্দ্রগুলোও মুনাফা কমে যাওয়ায় সম্প্রতি তাদের পরিশোধনের হার কমিয়ে দিয়েছে।
চীনা শুল্ক বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় আমদানি ছিল দৈনিক ১ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা এ বছর ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে দামও কমেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস ও ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) নিজেদের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ার পূর্বাভাস সংশোধন করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের জ্বালানি তেলের চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এর দামেও প্রভাব ফেলেছে। সম্ভবত চীনে অতিরিক্ত চাহিদা বাড়বে বলেও প্রাক্কলন করা হয়েছিল।
আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরোল বলেন, ‘চীনে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূর্বাভাসের তুলনায় কমেছে। অন্যদিকে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির বিক্রি বেড়ে গেছে। এতে আগামী দিনগুলোয় বৈশ্বিক চাহিদার বাড়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ●
অকা/বিঅ/ফর/সন্ধ্যা/১০ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 12 months আগে

