অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
যদি বেশি দিন যুদ্ধ চলে তখন আমাদের ওপর একটা প্রভাব বা প্রেসার পড়বে। আপাতত ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আমরা আরও অপেক্ষা করবো বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
১৭ জুন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে আমাদের দেশের জ্বালানি তেলের দামে কোনো প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা দেখেছি ইতোমধ্যে কিছুটা বেড়েছে। তবে যেগুলোতে আমরা অর্ডার করেছি, সেগুলোতে প্রভাব ফেলেনি। গ্যাস, এলএনজির দাম যদি বেড়ে যায় তাহলে আমরা বিবেচনায় নেব। ১৭ জুন যে এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছি, সেটা পুরোনো দামেই কোড করেছে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে আমরা আগের দামেই পাব।
আপাতত আমাদের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা কি নেই- এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, না, আপাতত বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ প্রস্তুতি বলতে ১৭ জুন আমরা যে এলএনজি, সার আনার প্রস্তাব অনুমোদন দিলাম, সেটা পুরোনো দামে। ভবিষ্যতে যখন নতুন কোনো কিছু আনব তখন হয়ত কিছুটা ইফেক্ট করবে।
যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে বিকল্প কিছু চিন্তা করছেন কি না এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিকল্প চিন্তা বলতে অবশ্যই জ্বালানি মন্ত্রণালয় করছে। যেহেতু আমরা এলএনজির ওপর নির্ভর করি বেশি। যুদ্ধে জ্বালানি শুধু না, সার, জাহাজ চলাচলেও প্রভাব পড়বে। হরমুজ প্রণালি দিয়ে জাহাজ আসে, সেখানে প্রভাব পড়তে পারে। ●
অকা/জ্বালানি/ফর/দুপুর/১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 3 weeks আগে