অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
লেনদেনের শুরুতে ১৭ জুন মিশ্র অবস্থায় ছিল সূচক। তবে ১ ঘণ্টা পর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায় ধীরে ধীরে পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৯২ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৭৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ আগের দিনের তুলনায় ৯৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ১১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দেশের পুঁজি বাজারে ১৭ জুন অধিকাংশ বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হয়েছে। এর প্রভাবে সূচকে নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজি বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির দৈনিক লেনদেনও কমেছে ২৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৭ জুন বীকন ফার্মার ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ দরপতন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ দরপতন হয়েছে আইসিবির। এছাড়া রবির ২ দশমিক শূন্য ৫, লাফার্জোহোলসিমের ১ দশমিক ৭৯, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইউনিলিভার কনজিউমারের ১ দশমিক ৭৮, বেক্সিমকো ফার্মার ১ দশমিক ৭২ ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১ দশমিক ৩২ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
দরপতন হওয়া অন্যান্য কোম্পানি হলো ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, রেনাটা, পূবালী ব্যাংক, ম্যারিকো বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
ডিএসইতে ১৭ জুন ৩১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৪১৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২৭৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭৪টির বাজারদর।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ ঘিরে বাড়তে থাকা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা দেখা দিয়েছে। ফলে তারা বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকছেন। ●
অকা/আখা/ফর/দুপুর/১৮ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 3 weeks আগে