অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয় ও সংরক্ষণের জন্য দেশের ১২টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক এবার ২৭০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১১ কোটি টাকা বেশি। যদিও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) দাবি ছিল এর প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

দেশে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় প্রায় এক কোটি পশু কোরবানি হয়। এ চামড়ার বাজারমূল্য প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সাধারণত কাঁচা চামড়া ক্রয় ও সংরক্ষণের জন্য প্রতি বছরই সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেন ট্যানাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত এ ঋণের পরিমাণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। যদিও ট্যানারিগুলো এ ঋণ নিয়ে যথাসময়ে ফেরত দেয় না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর। এখন পর্যন্ত এ খাতে বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ক্রিসেন্ট গ্রুপের একাই ৫ হাজার কোটি টাকা, বাকি সব ট্যানারিগুলোয় ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ বকেয়া আছে। ব্যাপক পরিমাণে ঋণ খেলাপি অবস্থায় থাকায় ব্যাংকগুলোও এ খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) জানিয়েছে, চলতি বছর ১৭০ কোটি টাকার ঋণ রিশিডিউল করা হয়েছে।

গত বছর ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চাইলেও, পেয়েছিলেন মাত্র ২৫৯ কোটি টাকা, যা চাহিদার প্রায় অর্ধেক। এর আগে ২০২২ সালে এ ঋণের পরিমাণ ৪৪৩ কোটি টাকা।

গত বছরের চেয়ে বেশি ঋণ সহায়তা চেয়ে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)।

এ প্রসঙ্গে ট্যানারি মালিকদের সংগঠনের সভাপতি মো. শাহীন আহমেদ বলেন, ‘কাঁচা চামড়া ক্রয় ও সংরক্ষণের জন্য কোরবানির আগে ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ ঋণ দেয়, তা প্রয়োজনের খুবই অপ্রতুল। যদিও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আশ্বাস দিয়েছেন, পর্যাপ্ত ঋণ দিতে মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেয়া হবে।’

চলতি বছর কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয় ও সংরক্ষণের জন্য ১২টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিচ্ছে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক- সোনালী, জনতা, রূপালী ও অগ্রণী। বাকি ঋণ দেবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো।  ●

অকা/শিখা/ফর/সকাল/১৬ জুন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

সর্বশেষ হালনাগাদ 2 years আগে

Leave A Reply

Exit mobile version