অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘অর্থনীতিতে প্লাস্টিক খাতের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ২৭ আগস্ট এসব কথা বলেন বাণিজ্যসচিব চীন বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতে ডাম্পিং করে থাকলে বাংলাদেশ অবশ্যই অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘চীনের ওপর যতই নির্ভরতা থাকুক, যদি চীন এমনটা করে থাকে, আমরা অবশ্যই অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করব।’ এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের চীনের ডাম্পিং করার বিষয়ে কোনো প্রমাণ থাকলে তা উপস্থাপন করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে প্লাস্টিক খাতের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্লাস্টিক খেতে চীনের ডাম্পিংয়ের কারণে আপনারা যদি তিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, সেই তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে উপস্থাপন করুন। সঠিক তথ্যপ্রমাণ থাকলে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারব। এর আগে সুতার ক্ষেত্রে আমরা শুনেছি, এখন প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে শুনলাম, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
প্লাস্টিক খাতে সহায়তার ব্যাপারে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘আমরা হয়তো নগদ সহায়তা দিতে পারব না। শুল্ক সহায়তাও বেশি দিন দেয়া যাবে না। তবে বিকল্প কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, সে বিষয় নিয়ে আমরা ভাবছি। নতুন প্রশিণকেন্দ্র বা ডিজাইনের ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য আমরা সহায়তা করতে পারব। আপনারাও এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণকেন্দ্র করতে চাইলে আমরা ও উন্নয়ন সহযোগীরা আপনাদের পাশে থাকব।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে মেঘনা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘চীন আগে ভারতে পিভিসি ও পিইটি প্লাস্টিক রফতানি করত। কিন্তু সেখানে আর রফতানি করতে পারছে না। এখন তারা বাংলাদেশে প্লাস্টিক ডাম্পিং করছে। তাই আমাদের সহযোগিতা করা না হলে আমরা সামনে এগোতে পারব না।’
স্বাগত বক্তব্যে প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর প্লাস্টিকসহ অন্যান্য স্থানীয় শিল্পে সুরা প্রয়োজন। নয়তো আমরা টিকতে পারব না। প্লাস্টিক এখন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। একটা পাউরুটি আগে একদিনে নষ্ট হয়ে যেত। এখন প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের কারণে পাঁচ দিন পর্যন্ত ঠিক থাকছে। তাই প্লাস্টিক প্যাকেজিং ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। এক খাতের সঙ্গে প্রায় ৩০টি উপখাত জড়িত রয়েছে। যেখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে। ●
অকা/শিবা/ফর/বিকাল/২৭ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 2 months আগে