চলতি অর্থবছরের আগামী মাসগুলোয় দেশের রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বলেছে, বৈশ্বিকভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হারের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিম্নমুখী। এছাড়াও ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণে এ খাতে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার ১৬-০৪-২০২৪ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তৈরি পোশাক খাতের ওপর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ অনিশ্চয়তা এবং চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এগিয়ে যাবে। কারণ, পোশাক রপ্তানির আদেশ বাড়তে শুরু করেছে। রপ্তানি শিল্পের কাঁচামালের আমদানি আগে যেভাবে কমছিল, সেই গতি এখন কমেছে। আগে যেখানে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আসছিল, এখন কমছে তুলনামূলক কম হারে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ২০ শতাংশ। তবে ওই সময়ে এলসি খোলা ৮ শতাংশ বেড়েছে। আগে এলসি খোলার হারও কম ছিল।

আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা এবং প্রধান বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো এখনো করোনা ও বৈশ্বিক মন্দার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য এনে, রপ্তানি আদেশ ও পণ্য জাহাজীকরণের সময় বা লিড টাইম কমিয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে এ খাতকে এগিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে গবেষণা করে পণ্যের মান আরও উন্নত করতে হবে। নতুন বাজারে প্রবেশ করতে হবে। দক্ষ কর্মীবাহিনী ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে হবে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে এ খাতকে এগিয়ে যেতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও নিটওয়্যার রপ্তানি কমেছে।

বৈশ্বিকভাবে কাঁচামালের দাম বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ জন্য ছোট ও দুর্বল কিছু কারখানা আপাতত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট খরচ মেটানো এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার কারণে অনেক কারখানা বাধ্যতামূলকভাবে কম দামে পোশাক রপ্তানির প্রস্তাব দিচ্ছে। এতে গত অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় নিটওয়্যার রপ্তানিতে সামান্য কমেছে। তবে গত অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারির তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে। কিন্তু নিটওয়্যার রপ্তানি ৯ শতাংশ বেড়েছে।

সর্বশেষ হালনাগাদ 2 years আগে

Leave A Reply

Exit mobile version