অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম, সরবরাহও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এরই মধ্যে কিছু সবজি ও মাছের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। ১১ জুন সকালে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, আড়তগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা কম। বাজারে নেই ব্যস্ততা। একই অবস্থা খুচরা বাজারেও। বেলা বাড়লেও খুচরা বাজারে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম।
দোকানিরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ না হওয়ায় বহু মানুষ এখনো ঢাকায় ফেরেননি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা এজন্য কম। ফলে বেচাকেনা জমে ওঠেনি।
অন্যদিকে, বাজারে পণ্য সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা। সবজির আড়তের বিক্রেতা জাবেদ হোসেন বলেন, মানুষ এখনো গ্রামে। ঢাকায় ফিরলেই বাজারে ভিড় বাড়বে। তাই সরবারাহ কম। এছাড়া সারাদেশে মোকামসহ জেলা-উপজেলাগুলো থেকে পণ্য কম আসছে।
তবে বাজারগুলোতে দেখা গেছে, ঢেঁড়স খুচরা ২৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, ধুন্দল ২৫, চিচিঙ্গা ২৫, পটল ৪০ টাকা ও বেগুন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, দু-একটি পণ্য ছাড়া ২৫ টাকা থেকে ৬০ টাকার মধ্যে সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, বাজারে এখন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের আনাগোনা বেশি। তবে পাইকাররা গতকাল থেকে কম সরবারাহের অজুহাতে দাম কিছুটা বাড়িয়েছেন। কিন্ত ক্রেতা কম থাকায় বাজারের সবকিছুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বেশ কয়েকজন পাইকারি ও খুচরা সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম আসায় বাজারে সবজির দাম আর কমার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, মাছের বাজারেও ক্রেতা কম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাতল ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, রুই ৩৫০, পাবদা ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মাছ কিনতে এসে এক ক্রেতা বলেন, মাছের দাম আগের মতোই আছে। কোরবানির ঈদ হিসেবে দাম কমেনি। তবে বাজারেও মাছ কম। রুই-কাতলের দাম আগের মতোই।
কারওয়ান বাজারের কামারপট্টি এলাকায় রাস্তার ওপর বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রেতা আজগর বলেন, বাজারে ক্রেতা খুবই কম। পাঙ্গাস-তেলাপিয়া মোটামুটি কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা বাড়লে মাছের দাম সামনে আরও বাড়তে পারে। ●
অকা/বাণিজ্য/ফর/দুপুর/১১ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 4 weeks আগে