অর্থকাগজ প্রতিবেদন ●
ঢাকার কারখানা বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সাভার কারখানার বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএটিবিসির পর্ষদ। এ অর্থ কোম্পানিটির অভ্যন্তরীণ উৎস ও নগদ প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে নেয়া ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি) তাদের সাভার কারখানায় ২৯৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৬ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে লিজ চুক্তি নবায়নের আপিল সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হওয়ার পর রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় অবস্থিত প্রধান কার্যালয় ও কারখানার জায়গা খালি করে দিচ্ছে বিএটিবিসি। ১ জুলাই থেকে আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়নের বলিভদ্র বাজার এলাকায় নতুন ঠিকানায় কার্যক্রম শুরু করবে কোম্পানিটি।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বিএটিবিসির গ্রস আয় হয়েছে ৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩১৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
প্রথম প্রান্তিকে বিএটিবিসির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ টাকা ৬৫ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৭৭ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএটিবিসির পর্ষদ। এর আগে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে হিসেবে সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আলোচ্য হিসাব বছরে বিএটিবিসির ইপিএস হয়েছে ৩২ টাকা ৪২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের যা ছিল ৩৩ টাকা ১১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা ৮৮ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করে বিএটিবিসির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছর যা ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৩৩ পয়সায়। মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, দশমিক ৬৪ শতাংশ সরকার, ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ বিদেশী ও বাকি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
১৯৭৭ সালে পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত বিএটিবিসির অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনও একই। রিজার্ভে রয়েছে ৫ হাজার ২২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ●
অকা/বাণিজ্য/ফর/দুপুর/২৭ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 2 weeks আগে