তারেক আবেদীন ●
দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানি হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর মালিকদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বেশ চরমে। অতি সম্প্রতি কোম্পানি থেকে বহিস্কৃত দুজন পদস্থ কর্মকর্তা ও একজনকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কোম্পানির পরিচালকদের বিরোধ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে সংকট!
প্রায় ৪৭ হাজার গ্রাহকের দাবীসহ বিভিন্ন পাওনা অপরিশোধিত, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন ভাতা ও পাওনা বকেয়া রাখা, মালিকদের মধ্যে দলাদলি, ভূয়া বিল ও ভাউচার দেখিয়ে ব্যবস্থাপনা ব্যয় বৃদ্ধি , পুঁজিবাজারে না যাওয়ার ব্যর্থতা, অবৈধভাবে জমি ক্রয়, মামলা মোকদ্দমায় জড়ানো, মূলধন ভেঙ্গে খেয়ে ফেলা, তহবিল তসরূপ, অর্থ কেলেংকারি, আইন ও বিধান না মানা, ঘনঘন উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পাল্টানো, যোগ্য ও শিক্ষিত নির্বাহীকে সরিয়ে অযোগ্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ, রাজনৈতিক প্রভাব প্রদর্শন ইত্যাদি কার্যক্রম উল্লেখিত কোম্পানিতে বেশ কবছর থেকে বিরাজমান। ফলে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। কোম্পানির নির্বাহী কাজে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, বীমা ব্যবসায়ে কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ব্যাংক লেনদেন কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল ২০ অক্টোবর। কোম্পানির হিসাব স্থিত (ফ্রিজ) করে দেশের তফশিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক পুবালী ব্যাংক পিএলসি ও যমুনা ব্যাংক পিএলসি থেকে এদিন জানিয়ে দিয়েছিল। আর তা করা হয় সরকারি নির্দেশে। ৮ অক্টোবর ১৬ বছরে অর্থাৎ ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছর থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছর অবধি হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ই-টি.এন.আই-১৯৮২৫৩৯২৪৩১৯ ’র বিপরীতে সরকারের আয়কর বাবদ মোট পাওনা ছিল ৮১ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৯১০ টাকা চলতি বছরের ১৭ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ২৯ বছরের কোম্পানিটি সে নির্দেশ আমলেই নেয়নি। হোমল্যান্ড লাইফের দীর্ঘদিনের বকেয়া আয়কর পরিশোধ প্রসঙ্গে কর কমিশনার কার্যালয়ের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের উপ কর কমিশনার মো. আইয়ুব আলী কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পত্র (বকেয়া/বৃকইউ/২০২৪-২৫/০১) পাঠান। পত্রে উল্লেখ করা হয় যে, আয়কর আইন, ২০২৩ ’র ২৭৫ ধারা অনুযায়ী অনাদায়ী বকেয়া আয়কর আহরণের ক্ষেত্রে অনাধিক বকেয়ার সমপরিমাণ জরিমানার বিধান রয়েছে। হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডকে আয়কর আইন, ২০২৩ ’র ২২১ ধারা অনুসারে বকেয়া আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে তার দালিলিক প্রমাণ সংশ্লিষ্ট কর কমিশনারের কার্যালয়কে প্রদান করা ছাড়াও কোম্পানিটিকে জরিমানা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
কোম্পানিটিতে নিয়মিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নেই অনেকদিন ধরে। আইনগত কারণে নিয়মিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে পারছে না কোম্পানিটি। ফলে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কাজ চলছে ঠেলেঠুলে। এক বছরে ৩ জন প্রধান নির্বাহীকে বিদায় দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মতিন ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এ ১২ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। ভূয়া শিক্ষা সনদধারী মোহাম্মদ আবদুল মতিন স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রাইম ইসলামী লাইফ থেকে এমডি হবার খায়েশে প্রথমে বেস্ট লাইফ পরে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ হয়ে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এ যোগদান করেন। একের পর এক এখানেও ‘বিতর্কিত’ কর্মকাণ্ড করতে শুরু করেন তিনি। হোমল্যান্ড লাইফের ব্যবসায়ে মাসে প্রথম বর্ষ ৫ কোটি এবং ৫ কোটি টাকার নবায়ন প্রিমিয়াম আদায় করে দিবেন এমন প্রতিশ্রুতিতে তার মাসিক বেতন বাবদ ৩ লাখ এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। কিন্তু কোম্পানিতে যোগদানের পরের মাসে তিনি প্রথম বর্ষে ব্যবসা সংগ্রহ করেন মাত্র ১ লাখ ২৪ হাজার। এ সময় নবায়ন আদায় হয় ৪৪ লাখ টাকা।
হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এ যোগদানের পরপর ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মতিন গত ১১ জুলাই হোমল্যান্ড লাইফে যোগদান করা উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেনকে কোন কারণ ছাড়াই চাকরি থেকে বিদায় করে দেন। অভিযোগ আছে, ২ মাস ৮ দিনের বেতন না পেয়ে উন্নয়ন ও প্রশাসন বিভাগের এ কর্মকর্তাকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। ওই স্থানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মতিন ও তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী লুৎফুন নাহার আলোকে বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বসান। হোমল্যান্ড লাইফের দীর্ঘ সময়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারি কেউ মতিন-আলোর আগমনকে ভালো চোখে দেখেননি। আলোর আগমনে কোম্পানিতে ‘লোডশেডিং’ দেখা যেতে থাকে। বাচাল এবং ব্যক্তিত্বহীন এ কর্মকর্তা অল্প সময়ের মধ্যেই সবার চক্ষুশূল হয়ে উঠেন। কোম্পানির চেয়ারম্যানের কাছে মতিন ও আলোর বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায় থেকেও নানা অভিযোগ আসতে থাকে। চেয়ারম্যান ২০২৪ সালের বীমা ব্যবসায়ের সমাপনী বর্ষ অবধি অপেক্ষো করছিলেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মতিন এবং উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফুন নাহার আলো ভূয়া ব্যবসা এবং কোম্পানিতে জমাকৃত মোহাম্মদ আবদুল মতিনের শিক্ষা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে মোহাম্মদ আবদুল মতিনকে কোম্পানি থেকে অব্যাহতি দেন। কোম্পানি থেকে এক পত্রে (এইচএলআই/এইচও/প্রঃকাঃ/সিএস/দপ্তর/০০১১/২৫,তারিখ–১৩/০২/২০২৫) চেয়ারম্যান তাকে জানান, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ১৪৯তম পরিচালনা পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু কোম্পানির বৃহত্তর স্বার্থে ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে আপনাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই তারিখ থেকে অপর এক পত্রে (এইচএলআইএইচও/প্রঃকাঃ/সিএস দপ্তর/০০৯/২০২৫, তারিখ- ১৩/০২/২০২৫) কোম্পানি সচিব ও প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বিপণন) লুৎফুন নাহার আলোকে চাকুরি হতে অব্যাহতি দেন। পত্রে বলা হয় তার সঙ্গে কেউ যেন আর্থিক লেনদেন ও যোগাযোগ না করে। আরেকটি পত্রে কোম্পানি সচিব ও প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার আলোর জায়গায় অর্থাৎ উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বিপণন) পদে মো. জাকির হোসেন সরকারকে নিয়োগ দেন। জাকির হোসেন সরকার এ পদে যোগদান করেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, জাকির হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, মোহাম্মদ আবদুল মতিনের স্নাতকোত্তর (ব্যবসা প্রশাসন) শিক্ষা সাময়িক সনদ যাচাইয়ের লক্ষ্যে অর্থকাগজ এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিজয় সনকার বড়ুয়া গত ২৭ জুন, ২০২৪ জানান, মোহাম্মদ আবদুল মতিনের উল্লেখিত ছাত্র আইডি, ডিগ্রি ও অর্জিত নম্বর সবই ভূয়া।
এদিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহীসহ ২ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের স্থলে অর্থ আত্মাসাৎ মামলার আসামিকে নিয়োগ দেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান। বোর্ড সভার অনুমোদন ছাড়াই ২ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি এবং নতুন করে একজনকে নিয়োগ দেয়ায় সপ্তাহ খানিক ধরেই কোম্পানিতে চলছে অস্থিরতা। অভিযোগ আছে, হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুলহাস ও পরিচালক সালেহ হোসেনের প্রশ্রয়ে বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মতিন এবং উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফুন নাহার আলো এখনো অফিস করছেন।
দুই কর্মকর্তার চাকুরি থেকে অব্যাহতি এবং উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বিপণন) পদে মো. জাকির হোসেন সরকারকে নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুজন পরিচালকের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এ সৃষ্ট অচলাবস্থায় ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কোম্পানির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্যে হোমল্যান্ড লাইফের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী এবং একজন ডিএমডিকে আমি বরখাস্ত করেছি। তবে ওরা এখনো অফিসে আছে। কেন ওরা অফিসে আছে, তা জানি না।
তিনি বলেন, কোম্পানির স্বার্থে ওদের বহিস্কার করেছি। যতদিন তারা ছিল কোম্পানির যে ব্যবসা-বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া ছিল, তারা তা পূরণ করতে পারেনি। বর্তমানে আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের অনেক গ্রাহক আছে, তাদের টাকা দিতে পারছি না। টাকা দিতে হলে তো ব্যবসা থাকতে হবে।
জানা গছে, ১৬ বছরের বকেয়া আয়কর ও অনিষ্পন্ন দাবী মিলিয়ে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর বর্তমান সময় পর্যন্ত দায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
সিলেটে টুকের বাজারে জমি কেনার নামে আত্মসাৎ করা হয় ১.৫১ কোটি টাকা। অস্তিত্বহীন জমিতে বিনিয়োগ করে এ কোম্পানি। জমি কেনার জন্য অগ্রিম দেওয়া হয়। অথচ সেই জমি নিবন্ধন হয়নি। ফেরত নেওয়া হয়নি জমি কেনা বাবদ অগ্রিম টাকা। কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে অগ্রিম কমিশন ও বেতন-ভাতা পাঠিয়ে তা আবার নগদে তুলে নেওয়া হয়। হোমল্যান্ড লাইফ গ্রাহকের জমা করা টাকা থেকে লোপাট করা হয় ১০৪ কোটি টাকা। তা হয়েছে ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে। আর এ লুটপাটে জড়িত কোম্পানির স্বয়ং মালিকরাই।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত এক তথ্যে জানা গেছে, আইন অনুয়ায়ী ১৯৯৯ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের জন্য গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু ২৬ বছরেও ব্যর্থ হয়েছে ১৯৯৬ সালে ২৩ মে নিবন্ধিত কোম্পানিটি। চলতি বছরের শুরুতে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ আবেদন করার কথা ছিল।
কোম্পানিটির হিসাব বিভাগ থেকে প্রাপ্ত উপাত্তে দেখা যায়, হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি তলানিতে। কোম্পানির ২০২৩ সালে ব্যবসা অর্জিত হয় ৬১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার৫৭২ টাকা। এ অংকের মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছিল ৪৩ কোটি ২৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫২ টাকা; বাকিটা নবায়ন ব্যবসা। কিন্তু ২০২৪ সালে তুলনামূলকভাবে কোম্পানিটির ব্যবসা বেশ শোচনীয়। সদ্য সমাপ্ত বছরে তা অর্ধেকেরও কমে এসে দাঁড়িয়েছে। উপাত্তে দেখা যায়, ২০২৪ সালে কোম্পানিটির মোট ব্যবসা ২৩ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ২৫৪ টাকা। এরমধ্যে প্রথম বর্ষের ব্যবসার অংক ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬৬ টাকা।
হোমল্যান্ড লাইফ কোন দিকে যাচ্ছে, বিরাজমান সংকট, কোম্পানির ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় জানার জন্য হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুলহাস ও পরিচালক সালেহ হোসেনের সঙ্গে অর্থকাগজ থেকে যোগাযোগ করা হয়; কিন্তু অফিস ফোন থেকে প্রেরিত কল বাজলেও তারা কেউ তা ধরেননি। ●
অকা/বিপ্র/জীবীকো/বিকেল/২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ হালনাগাদ 9 months আগে

